হ্যাপি আক্তার : দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের হতাশ করে, দশম সংসদের মতো এবারও বগুড়ার সাত আসনের মধ্যে ২টি রেখে বাকি ৫টি আসন মহাজোট শরিকদের ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আসন ভাগাভাগির এমন সিদ্ধান্তে বগুড়ার সবকটি আসন মহাজোট ধরে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেই দেখা দিয়েছে সংশয়। আসন ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে খুশি নন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ফলে তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে চাপা অসন্তোষ। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় শরিক দলের ৫ প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন বগুড়ার নেতাকর্মীরা। সূত্র : ডিবিসি নিউজ
দলীয় নেতাকর্মীরা বলেছেন, এই আসনে মনোনয়ন দেয়ার সময় যদি আরেকটু বিচার বিশ্লেষণ করা হতো, তাহলে আরও ২টি আসন বগুড়ার মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারতো বলে আমাদের বিশ্বাস। পূর্বের তুলনায় এই অঞ্চলে আমাদের ভোটের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া এই আসনে আমাদের দলীয় অবস্থান অনেক শক্তিশালী।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় গেল কয়েক বছর ধরে নৌকার ভোট বাড়িয়েছেন তারা। সেই হিসেবে আরো অন্তত ২টি আসনে এবার নৌকার প্রার্থীর জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন নেতারা।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মমতাজউদ্দিন বলেন, ‘বগুড়াতে যদি আমাদেরকে আরও দুইটি আসনে মনোনয়ন দেয়া হতো তাহলে আমি মনে করি আমরা সেই আসন গুলোতে নৌকার বিজয় আনতে পারতাম। আমার আসনে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে জনগণের কাছে তার কোন ভিত্তি নেই।’ প্রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন দশম সংসদ নির্বাচনে শরিক দলের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলেও এবার ধানের শীষের বিপরীতে তাদের জয় নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী নন আওয়ামী লীগ নেতারা।
বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিক বলেছেন, আমাদের নেত্রী আমাদের যে নির্দেশ দিবেন আমরা সে অনুযায়ী নির্বাচনের মাঠে কাজ করবো। বগুড়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মনের আশা পূরণ হয়নি। আসন্ন নির্বাচনে এর কেমন প্রভাব পড়বে তা নির্বাচনের মাঠে গেলেই আমরা বলতে পারবো।’
আপনার মতামত লিখুন :