হ্যাপি আক্তার : ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন, হঠাৎ করে একটি মামলায় আমাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার ফেসবুকে দেয়া এক ভিডিওতে তিনি বলেন, সরকার বা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতের ইশারায় কোর্ট রায় দিয়ে যাচ্ছেন। যা অতন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এরকম একটি বাংলাদেশের জন্য আমরা লড়াই করিনি।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে অনেকটা বাধ্য হয়েই অবস্থান করতে হচ্ছে বলে উল্লেখ করে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দেশে ফেরা সম্ভব নয়। কারণ বর্তমানে আমি ক্যান্সারে আক্রান্ত। অনেকেই বলছেন, আমি পলাতক বা অনুপস্থিত আছি। আমি শুধু একটি কথাই বলবো, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বাতিলের আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ, এক স্বৈরাচার ও আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনগুলোতে প্রথম কাতারে অবস্থান নিয়ে অংশগ্রহণ করি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে এমন কোনো আন্দোলন নেই যে খানে অংশ নেইনি। সুতরাং এখনে আমার পালিয়ে থাকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না, যদি না আমরা মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত না হতাম।
তিনি বলেন, দেশে বিচার বিভাগ কীভাবে চলছে তা সকলে জানেন। বিশেষ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে একটি ভুয়া মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। যে মামলা করা হয়েছে, যেখানে সরকারের কোনো অর্থই নেই এবং যা একটি প্রাইভেট ফান্ড। সুদ-আসলে তিনগুণ হয়ে তা ব্যাংকে রয়েছে। সেই টাকা আত্মসাৎ দেখিয়ে তাকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দিয়ে জেলে আটক করে রেখেছে। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে অন্যান্য মামলাগুলোতেও কোনো রকমের সত্যতা নেই। বিএনপির প্রাইভেট ট্রাস্ট, তারা জমি কিনেছে। সেখানে ট্রাস্টের কোনো সদস্যের কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু সেখানে সরকার-দুর্নীতি দমন কমিশন জোর করে তাকে এই মামলায় শাস্তি দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঠিক একইভাবে আমার বিরুদ্ধেও এই ধরনের মামলা দিয়েছে। যেহেতু কোনো রকম আত্মপক্ষ সমর্থন নেবার সুযোগ নেই আমরা। তাই আমার অনুপস্থিতিতে যেগুলোতে কোনো ধরনো মামলাই হবার কথাই না। সেগুলোতে মামলা দিয়ে সাজা দেওয়া হচ্ছে।
বনানী সুপার মার্কেটের কার পার্কিং ইজারায় যে মামলা, সেখানে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বছরে ইজারা দেওয়ার একটি প্রস্তাব আনা হয়েছিলো। সেই প্রস্তাব অনুমোদন এর প্রাক্কালে বনানীর দোকান মালিক সমিতি, তারা সদলে এসে আমাদের প্রতিনিধিত্ব দেয়। তাদের মত, যেহেতু আমরা আপনাদের ভাড়াটিয়া এবং আমাদের এই দোকানের ব্যবসায় দেখভাল ও সুযোগ-সুবিধা করে দেবার দায়িত্ব আপনাদের। এখানে যদি বাইরের কাউকে যদি কার পার্কিংয়ে জন্য অন্য কাউকে ইজারা দেন, তাহলে তারা আমাদের যন্ত্রণা দেবে। যাতায়াতে প্রতিবারই তারা আমাদের টোল ধার্য করবে। এই নিয়ে তাদের সাথে ঝগড়া লেগেই থাকবে। ১ লাখ ৪০ হাজার বছরে এটা কোনো বড় অংকের টাকা না। এই সামান্য টাকার জন্য আপনারা বহু দোকানদারদের এই ঝামেলা আমাদের দেবেন না। তাদের এই বক্তব্যকে যথার্থ মনে করে আমরা ইজারাটা কাউকে দেইনি। মার্কেট সমিতি তা পরিচালনা করে আসছিলো এবং সিটি করপোরেশন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা তাদের কাছ থেকে পাচ্ছিলো। সুতরাং দুর্নীতির বিন্দুমাত্র কোনো সুযোগই নাই। আর এখানে দুর্নীতি হয়নি।
https://www.facebook.com/396665343755775/videos/2200620423593583/
আপনার মতামত লিখুন :