রাশিদ রিয়াজ : নির্বাচনের মাস ডিসেম্বরে ব্যাংকিং খাত থেকে সরকার বাজেট ঘাটতি মেটাতে ২২’শ কোটি টাকা ঋণ নিতে যাচ্ছে। এর কিছুটা ব্যয় হবে নির্বাচনের খরচ হিসেবে। এছাড়া ঋণের ১৩ হাজার ৬’শ কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মাধ্যমে। গত অক্টোবরে সরকার ব্যাংককিং খাত থেকে ২ হাজার ও নভেম্বরে ৩ হাজার ২’শ কোটি টাকা ঋণ নেয়। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, আগামী ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ সরকারের সিকিউরিটিজের মেয়াদ পূর্ণ হওয়া বাবদ ১১ হাজার ৪’শ কোটি টাকা পরিশোধের পর সরকারকে বাজেট ঘাটতি মেটাতে ২২’শ কোটি টাকা ঋণ নিতে হচ্ছে। প্রয়োজনে সরকারের ‘অকশন ক্যালেন্ডার’ বা ট্রেজারি ও বিল নিলামে সংশোধন আনা হতে পারে। গত নভেম্বরে এধরনের সংশোধন করে সরকার বাজেট ঘাটতি মেটাতে অতিরিক্ত ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়। গত বছর নভেম্বরে সরকার ১০.৪২ বিলিয়ন টাকা ঋণ নিলেও এবছর একই সময়ে সরকারের এ ঋণের পরিমান বেড়ে দাঁড়ায় ৩০.৪২ বিলিয়ন টাকা। এছাড়া ব্যাংককিং খাতে নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে সরকার মার্কিন ডলার বিক্রি করে থাকে। সর্বশেষ গত বুধবার কলমানি রেট ৩.৫৮ থেকে তা বৃদ্ধি পায় ৩.৬২ শতাংশ।
গত বৃহস্পতিবার চারটি ব্যাংকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৩০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদার বিপরীতে এর সরবরাহ ঠিক রাখতে। একই কারণে দুটি সরকারি ব্যাংক গত বুধবার ৪০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে গত জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে ৯০৬ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। ব্যাংককিং খাত থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার পরিমান বৃদ্ধি পেলে স্থানীয় মুদ্রা বাজারে স্বাভাবিকভাবে দেশি মুদ্রার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। আর চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকারের ঋণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা রয়েছে ৪২০.২৯ বিলিয়ন টাকা।
আপনার মতামত লিখুন :