কান্তা রায় : প্রায়ই সীমান্তে বা পাহাড়ি এলাকায় হাতি মৃত্যুর কথা শোনা যায়। সম্প্রতি হাতি রক্ষায় জন্য বাংলাদেশ-ভারত ১৭টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আওতায় সীমান্ত এলাকার দুই দেশ গঠন করবে এলিফেন্ট রেসপন্স টিম। মানুষ-হাতির মধ্যে সংঘর্ষ কমাতে সীমান্ত অঞ্চলে চলবে সচেতনতা তৈরির কাজ। শিগগিরই এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হবে। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
প্রায় ২ বছর আগে বাংলাদেশে আলোড়ন তৈরি হয় ভারতের আসাম থেকে বানের জলে ভেসে আসা বুনোহাতি বঙ্গবাহাদুরকে নিয়ে। দুই মাস কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধায়, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুরের প্লাবিত এলাকায় ঘুরে বেড়ায় হাতিটি। এটি উদ্ধারের প্রক্রিয়ার মধ্যেই ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট জামালপুরে প্রাণ হারায় বঙ্গবাহাদুর। এর বাইরেও সীমান্ত অঞ্চলে বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে, পাহাড়ি গর্তে পড়ে প্রায়ই হাতি মারা যাবার ঘটনা ঘটছে।
বন বিভাগের হিসেব মতে, দেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলায় গত ১৩ বছরে মারা গেছে অন্তত ৭৫টি হাতি। প্রায় ১০০ মানুষ হাতির হামলায় প্রাণ হারিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল হাতির নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিত করতে এবং লোকালয়ে হামলার ঘটনা কমানোর উপায় খুঁজতে বৈঠক করেছে। দুই দেশের বনবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বৈঠকে অংশ নেন হাতি বিশেষজ্ঞরা। এতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ২৬টি এলাকা চিহ্নিত করে বিভিন্ন কৌশল ঠিক হয়েছে।
বন সংরক্ষক জাহিদুল কবির বলেন, হাতির চলাচলের রাস্তা পথ উন্মুক্ত রাখতে হবে। হাতির হ্যাবিট যদি সঠিক রাখতে পারি তাহলে আমাদের দেশে হাতি দীর্ঘ মেয়াদী টিকে থাকবে।
বনাঞ্চল কমে যাওয়ায় হাতির আবসস্থল সংকট ও খাদ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে এমনটাই দাবি বন বিভাগের। যার ফলে মানুষের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে। বন বিভাগ ২০১৫ সালে এই স্তন্যপায়ী প্রাণী রক্ষায় দশ বছর মেয়াদি প্রকল্প হাতে নেয়।
আপনার মতামত লিখুন :