শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:০৬ সকাল
আপডেট : ৩০ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘ঐক্যফ্রন্টের কাছে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ’ (ভিডিও)

রাশেদুল ইসলাম: জামায়াত থাকলে জোট করবেন না বলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক শফিউল আলম ভূইয়া। তিনি বলেন, ‘তারা (ঐক্যজোট) যে আদর্শের কথা মুখে বলেছিলেন, যে জামায়াত বিরোধীর কথা বলেছিলেন সেগুলোকে এখন শোকেচে তুলে রেখেছেন। তাদের কাছে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ।’

বেসরকারি টেলিভিশন সময় টিভির সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক শফিউল আলম ভূইয়া বলেন, 'জামায়াতের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা আছেন, এটি একটি অভিনব তথ্য। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার স্বার্থ হিসেবেই জামায়াতকে সঙ্গে রেখে সব সময়। না হলে জামায়াতকে বিএনপি কিভাবে মনোনয়ন দিবে। মনোনয়ন দেওয়ার আগে বিচার করতে করতে হবে। সেই বিচারের শর্ত হিসেবেই আমার ধারণা, জনগণের চোখে ধূলা দেওয়ার জন্যই এধরণের কথাবার্তা বলা হচ্ছে।'

জামায়াতকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আখ্যা দিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, ঐক্যফ্রন্টের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের নেতারা জামায়াতের পাশাপাশি বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে নিজেদের আদর্শ থেকে সরে এসেছেন।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বলছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের কথা ও কাজের মধ্য কোন মিল না থাকায় নিজেদের আর্দশের জায়গায় বিচ্যুতি ঘটেছে; যা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট যখন গঠিত হয়, তখন বলা হয়েছিল এটি নির্বাচনী জোট। এখানে বিএনপির সঙ্গে তারা আছেন কিন্তু জামায়াতের সঙ্গে তারা নেই, এসব কথা বলে জাতিকে একটি প্রতারণার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত একই পরিবার। সেই একই পরিবারের সদস্য হিসেবে জামায়াতের প্রতিনিধিরা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে। আদর্শচুত্যি ঘটলে যা হয়, এখন আমরা তাই দেখতে পারছি।’

তথ্যসূত্র বলছে, সরকার বিরোধী অবস্থান নিয়ে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য গড়তে ড. কামাল হোসেন সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের শর্ত ছিলো, বিশ দলীয় জোটের শরিক যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতকে ঐক্য থেকে দূরে রাখতে হবে। সেসময় ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নাই। সেটা প্রথমেই পরিস্কার করা হয়েছে।’

অন্যদিকে নানা নাটকীয়তায় জোট গঠন হওয়ার দেড়মাস পর ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল বিএনপি, হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার জোটের কাছে জামায়াতের দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করতে দাবি করেন, তাদের দলেও মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। এবিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জামায়াতের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধারাও আছেন।’

এমন বক্তব্যের পর রাজনৈতকি বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিএনপি ও এর শরিক জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, তাদের নিজেদের স্বার্থ নির্বাচনী বৈতরনী পার হতেই যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত জামায়াতকে স্বীকৃতি দিতেই তাদের এই অবস্থান।

এ অবস্থায় দ্বিধাগ্রস্ত না হয়ে, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে জনগণকেই তার অবস্থান নিতে হবে বলেও মনে করেন এই বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: সময় টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়