মতিনুজ্জামান : সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতের নদী আলোচনা ও চুক্তির বিষয়ে অগ্রগতি নেই, ফলে দ্রুত নব্যতা হারাচ্ছে বাংলাদেশের ৫৪টি নদী। যার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে। তবে বাংলাদেশ সরকার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালির ব্র্যাক সেন্টারে ‘এশিয়া অঞ্চলের ভূমি ও পানি সম্পদের সুশাসন: সম্পদের ব্যবহার ও সহযোগিতা’ বিষয়ে দু’দিনের এক আঞ্চলিক কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এএলআরডি ও ম্যানিলাভিত্তিক সংস্থা এনগক যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে।
এশিয়া অঞ্চলের ভূমি ও পানি ব্যবস্থাপনা, সম্পদ বন্টন ও ব্যবহার এবং অঞ্চলিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে মেনন বলেন, বিষয়গুলো সরকারের ডেল্টা পরিকল্পনায়ও রয়েছে। কেবল সাধারণ নির্বাচনী ইশতেহারে বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত করাই নয়, এটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার ও চেতনার মধ্যেও প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, উন্নয়নের যে বেদনা রয়েছে তার ভুক্তভোগী হয় সাধারণ মানুষ ও আদিবাসী জনগোষ্ঠী। ইকোপার্ক ও রিজার্ভ ফরেস্টের আওতায় আদিবাসীদের জমি দখল হচ্ছে। যা আদিবাসীদের জীবনের যন্ত্রণা। অন্যদিকে, বাংলাদেশে ক্ষেতমজুর আন্দোলনের দুর্দিন যাচ্ছে। শুধুমাত্র এনজিও’রা এক্ষেত্রে কিছুটা ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। তিনি ভূমি অধিগ্রহণের কথা উল্লেখ করে বলেন, ৩ ফসলী জমি অধিগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্তে¡ও তা অধিগ্রহণ ও দখল হয়ে যাচ্ছে। ভূমি দখলের ফলে জীবনহানিও ঘটছে।
স্বাগত বক্তব্য দেন এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা এবং এনগক-্এর নির্বাহী পরিচালক ন্যাথানিয়েল ডন মারকুইজ। মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির-এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ছাড়াও কর্মশালায় ভারত, নেপাল, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে বেলা’র নির্বাহী প্রধান অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কৃষিজমিতে ১০০টি ইপিজেড তৈরির সরকারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বঞ্চনা চিত্র তুুলে ধরেন। চিংড়িচাষ, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন এবং ইকোপার্ক ও রির্জাভ ফরেস্টের নামে আদিবাসীদের জমি অধিগ্রহণ, দখল ও ভূমি থেকে নির্মমভাবে উচ্ছেদের কথাও তুলে ধরা হয় এই উপস্থাপনায়।
আপনার মতামত লিখুন :