রফিক আহমেদ : দেশের বিশিষ্টজনরা বলেছেন, একাত্তরের ড. কামাল আর আজকের ড. কামাল এক নন। তিনি নাকি দেশ বাঁচাতে ঐক্যফ্রন্ট করেছেন! জাতি জানতে চায়, তিনি কার হাত থেকে দেশ বাঁচাতে চান? মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হাত থেকে? মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নকারী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত থেকে? বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সম্প্রতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘আসন্ন নির্বাচন: নতুন প্রজন্মের ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনরা বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বিশিষ্টজনরা বলেন, ড. কামাল কার কাছে দেশ তুলে দিতে চান- রাজাকারদের পৃষ্ঠাপোষক ও দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত তারেক, খালেদা জিয়ার হাতে? কিন্তু এ দেশের তরুণরা তা হতে দেবে না। তরুণরা কী করতে পারে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে। এবারও তরুনরা আওয়াজ তুলেছে, নতুন প্রজন্মের প্রথম ভোট মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে হোক।
‘পথ হারাবে না বাংলাদেশ’ শীর্ষক ধারাবাহিক আলোচনা সভার এই দ্বিতীয় এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্প্রতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. নুজহাত চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবিব, সাবেক রাষ্টদূত ও সচিব এ কে এম আতিকুর রহমান, কালের কন্ঠ সম্পাদক ও প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নায়ক ফেরদৌস, গবেষক ও কলামিষ্ট সুভাস সিংহ রায়, বিএমএ নেতা ডা. মাহবুবুর রহমান, ডা. ইফতেখার আলম অনন্ত, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সারিতা মিল্লাত, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা বরুণ ভৌমিক নয়ন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান লালটু, ইয়ং মেনস ক্রিশ্চিয়ান এসোসিয়েশনের সভাপতি উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার ও ছাত্রলীগ লীগ সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন প্রমুখ।
সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল এবং কবি ও সাংবাদিক আলী হাবিব।
সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, বিএনপির কোন সদস্য যাতে কোন আসনে (নির্বাচিত হয়ে) আসতে না পারে তরুণ সমাজকে তা দেখতে হবে। মনে রাখতে হবে যুদ্ধাপরাধ ও স্বাধীনতা বিরোধীতার কারণে জামায়াতের প্রতিটি সদস্য নির্বাচনের অযোগ্য। শুনেছি বিএনপি থেকে জামায়াতের ২৫জন সদস্য মনোনয়ন পেয়েছে। তাই দেখতে হবে আসলে মনোনয়ন কী জামায়াত পাচ্ছে না বিএনপি?
পীযূষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, আজকে আমরা তরুণদের কথা শুনতে চেয়েছি, শুনেছি। এরা সবাই এবার প্রথম ভোটার হয়েছে। এখানে দেখলাম সত্যকে সত্যই বলা হয়েছে। সাদাকে সাদা কালোকে কালোই বলা হয়েছে। আলোচনা অন্য দিকেও যেতে পারতো হতে পারতো হয়নি, যায়নি। এজন্যই বলি বাংলাদেশের ইতিহাস নির্মিত হয়েছে যে তরুণদের হাতে, সে দেশের তরুণরা ভুল করতে পারে না, ভুল করবে না। এসময় তিনি তুরুণদরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথে ও শেখ হাসিনার উন্নয়নের পথে যুক্ত থাকতে হবে, যুক্ত রাখতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :