রবিন আকরাম : বহুল আলোচিত মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলা আটকে আছেন সাবেক স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ। ৪২টি মামলা থেকে খালাস পেলেও এই মামলার গতিপ্রকৃতি আর তাঁর রাজনৈতিক ‘নড়াচড়া’র সঙ্গে একটা যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এরশাদ-ঘুড়ি আকাশে উড়লেও লাটাই অন্যের হাতে। রওশনের সঙ্গে বিরোধ মেটাতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে, জাতীয় পার্টির ভেতরের বিরোধ মেটানোর দায়িত্ব আসে তার ওপর। জাপার মন্ত্রী-সাংসদ হয় ওনার পছন্দেই। কথা না শুনলে এরশাদকে হাসপাতালে পাঠানো হয়, আবার বিশেষ দূত করে দেওয়া হয় সুযোগ-সুবিধা।
তবে সরকারের ভূমিকায় এরশাদ মাঝেমধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আওয়ামী লীগকে তিনবার ক্ষমতায় আনার খোঁটা দিয়েছেন। এরশাদ বলেন, ‘১৯৯৬ সালে বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আমি আওয়ামী লীগকে সমর্থন করি। বিনিময়ে তারা (আওয়ামী লীগ) আমার দল ভাঙে। (যুগান্তর, ২ জানুয়ারি ২০১৮)
গত বুধবার তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হন। দলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, চেয়ারম্যান অসুস্থ। কিন্তু আগের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে রাজনীতির আলোচনা অন্য রকম।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী মনে করেন, ২০১৪ সালের মতো এরশাদ আওয়ামী লীগের কাছে অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে আসায় এরশাদ রাজনীতিতে বা ক্ষমতাসীনদের কাছে গুরুত্ব হারিয়েছেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের চিন্তায় এখন কিছু আসন দিয়ে এরশাদকে হাতে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। ক্ষমতার রাজনীতির কারণে এই কদরটুকু থাকলেও তাঁর পায়ের নিচ থেকে রাজনীতির মাটি ক্রমশ সরে যাচ্ছে। প্রথাম আলো, যুগান্তর
আপনার মতামত লিখুন :