রফিক আহমেদ : বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ এর কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেছেন, এবারের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আশংকায় আছে দেশের জনগণ। ১০ কোটি ৪১ লাখ ভোটার যার মধ্যে ৩ কোটিরও বেশি তরুণ, তাদের প্রত্যাশা একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন হোক। কিন্তু সেই পরিবেশ এখনো হয়নি। বুধবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সকলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের দাবি রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের। ২০১৪ সালের মতো লজ্জাজনক নির্বাচন নয়, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কী করতে হবে তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনাও হয়েছে কয়েক দফা। এসব আলোচনায় উত্থাপিত অনেক দাবি অপূর্ণ রেখেও সকল নিবন্ধিত দল ও জোটসমূহ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, কালো টাকার মালিকরা আইনসভার সদস্য হবেন, দুর্নীতি করে অর্থবিত্তের মালিক হয়ে দেশের নৈতিক অভিভাবক হবেন, দেশের সম্পদ লুট এবং পাচার করে তারাই আবার দেশপ্রেমের বাণী প্রচার করবেন, কোনো মর্যাদা সম্পন্ন মানুষ তো তা মেনে নিতে পারে না। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী দলীয় কর্মীর মতো আচরণ করবেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাউকে বেআইনি সুবিধা দেবেন আবার কারো উপর নির্যাতনের রোলার চালাবেন এটা দেশের মানুষ দেখতে চায় না। নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতহীন আচরণ এবং অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করবেন এটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আবশ্যকীয় শর্ত।
তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অনেক ঘটনার খবর পত্রিকায় এলেও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। টাকাওয়ালাদের নির্বাচনের দাঁড়ানোর আগ্রহ, মনোনয়ন নেয়ার প্রতিযোগিতা দেখে নির্বাচন টাকার খেলা মুক্ত হবে এ আশা করা যায় না। ফলে আশংকা থেকেই যাচ্ছে যে নির্বাচন কমিশন টাকা, পেশি শক্তি ও প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে পারবে কি-না। নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকবে কি-না? তা যদি না হয় তাহলে নির্বাচন হবে কিন্তু হেরে যাবে জনগণ ও গণতন্ত্র। সম্পাদনা : মাহবুব, শাশ্বত।
আপনার মতামত লিখুন :