শিরোনাম
◈ সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২ ◈ থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় ◈ শিক্ষক নিয়োগ: ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫ ◈ বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না ◈ রোববার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  ◈ নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি ◈ উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে: সিইসি ◈ ভারতের রপ্তানি করা খাদ্যদ্রব্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পেয়েছে ইইউ ◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের স্বাক্ষর

প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:৩৯ সকাল
আপডেট : ২৯ নভেম্বর, ২০১৮, ০৪:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাংবাদিকতার নতুন পাঠ

প্রভাষ আমিন : বুধবার দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতায় একটি শিরোনাম দেখে সকালেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া হলো। ‘নয়াপল্টনে পুলিশ সফল, ধানমন্ডিতে নীরব’ শিরোনামের অসাধারণ রিপোর্টটি দেখে প্রথম মন ভালো হয়ে গেল। মনটা একটু খারাপ হলো, কারণ বিষয়টি নিয়ে আমিও লেখার কথা ভেবেছিলাম। তথ্য জোগাড় করতে করতেই প্রথম আলোর রিপোর্ট। তবে এ ধরনের অসাধারণ রিপোর্ট দেখার পর মন খারাপ করতেও ভালো লাগে। নয়াপল্টনে হেলমেটধারী হামলাকারীদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনতে পেরেছে পুলিশ। অথচ ধানমন্ডির হামলাকারীদের সাড়ে তিন মাসেও পুলিশ শনাক্তই করতে পারেনি। এতে পুলিশের রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব স্পষ্ট। রিপোর্টটি পড়তে পড়তেই বড় ধাক্কা খেলাম। এক জায়গায় লেখা আছে, ‘উল্লেখ্য, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে হেলমেটধারী দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনার পরপরই প্রথম আলোর অনুসন্ধানে হামলার নেতৃত্বদানকারী ও অংশগ্রহণকারী অনেকের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়। কিন্তু সে সময় সরকার ও পুলিশের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের শনাক্ত ও বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দেওয়ায় প্রথম আলো সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। অথচ সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সেই আশ্বাসের ভিত্তিতে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।’ সরকার ও পুলিশের আশ্বাসে কোনো পত্রিকা তার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ স্থগিত রাখতে পারে এবং সেটা আবার ছাপিয়ে স্বীকার করতে পারে; সেটা অবিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছিলো। নিশ্চয়ই এটা সাংবাদিকতার নতুন পাঠ।

২. কমপক্ষে দুই বছরের কারাদ-ে দ-িত ব্যক্তিরা আপিল করলেও নির্বাচন করতে পারবেন না, হাইকোর্টের এমন আদেশের ফলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির হেভিওয়েট অনেক নেতাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। এখন অ্যাটর্নি জেনারেল ও দুদকের আইনজীবীর ব্যাখ্যায় মনে হচ্ছে, আওয়ামী লীগের ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, হাজী সেলিম, বিএনএ’র ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাও নির্বাচন করতে পারবেন না। আসলেই পারবেন কিনা, সেটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

৩. গতকাল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের রহস্যজনক হাসপাতালবাসের কথা লিখেছিলাম। বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখে মনে হচ্ছে, এরশাদ এই বিক্ষোভ এড়াতেই সিএমএইচের নিরাপদ আশ্রয়ে গেছেন। তবে আমাদের ধারণা ভুলও হতে পারে। হয়তো এরশাদ সত্যি অসুস্থ। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ২৮ নভেম্বর, ২০১৮। সম্পাদনা : রেজাউল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়