সৌরভ নূর : অনেকটা রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই সমৃদ্ধ অর্থনীতির ঘোষণা দেয় দলগুলো। কিন্তু সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ইশতেহারে থাকে না সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা। এবারো দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে থাকছে এমন প্রতিশ্রুতি। সঙ্গে থাকছে সুশাসন নিশ্চিত করার কথাও।
কিন্তু দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া এসব প্রতিশ্রুতি কতোটুকু বাস্তবসম্মত, নাকি ভোটারদের আকর্ষণই মূল লক্ষ্য? এ প্রশ্নের জবাবে, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, ‘যে যতো অলঙ্কার যুক্ত করে দ্যুতি ছড়াতে পারেন, সেটাও একটা প্রতিযোগিতা। কিন্তু অর্থনীতির বিষয়টা সেভাবে সন্নিবেশিত হয় না’। সূত্র: ডিবিসি নিউজ
আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান দিক থাকবে অর্জিত প্রবৃদ্ধিকে আরো বাড়ানো। দারিদ্রতাকে আরো কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বলেছেন, উন্নয়নের ফল বাংলাদেশের নাগরিকদের ভোগ করবে। কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে জনগণের কাছে সকল সুবিধা পৌঁছে দেয়াই হবে আমাদের লক্ষ্য।
তবে যে দলই ক্ষমতায় আসুক তাদের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থানের দিকে আলাদা নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ গত প্রায় এক দশক ধরে জাতীয় উৎপাদনের আনুপাতিক হাতে মোটামুটি স্থির হয়ে আছে। এ ক্ষেত্রে যে সব প্রতিবন্ধকতা আছে সেগুলো দূর করার জন্য কী ধরনের পরিকল্পনা নেয়া হবে তার একটা ইঙ্গিত ইশতেহারে থাকা উচিৎ।’
আপনার মতামত লিখুন :