অপু খান : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল এখন দুইটি জোটে বিভক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই সিট ভাগাভাগির জেরে কোন জোট ভেঙে যাওয়া আশঙ্কা নেই। দুটো দল এক্ষেত্রে সবার থেকে প্রত্যাহারপত্র নিয়ে নিয়েছে। নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলাকে তিনি এ কথা বলেন।
রিয়াজউদ্দিন বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় দুটো দল এখন ড্রাইভিং সিটে আছে, তাদের সঙ্গে থাকা ছোট দলগুলোর সাথে এখন তাদের একটা বোঝাপড়া হয়েছে যে তাদের জন্য তারা কিছু সিট ছেড়ে দেবে। এক্ষেত্রে ওই দলগুলোর মধ্যে বড় ধরনের দর-কষাকষির কোন প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জোটে ড. কামাল হোসেনের ইমেজটা খুব প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ভোটের জন্য বিএনপিকেও দরকার। এক্ষেত্রে দু’পক্ষ একটি সমঝোতায় আসতে বাধ্য। দর-কষাকষি মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগেই শেষ হলে ভালো হতো। এখনও ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। তারা হয়তো পুরো সময়টা নেবে। কেননা রাজনৈতিক দলগুলো এ ধরনের সিট ভাগাভাগির বিষয়গুলো শেষ পর্যন্ত দর-কষাকষি করে থাকে।
এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরও বলেন, সিট ভাগাভাগির বিষয়টি বেশ জটিল প্রক্রিয়া। বড় দলের অনেক বড় বড় প্রার্থী আছেন, ভালো প্রার্থী আছে। এমনও হয়েছে যে বড় দলের একজন এমপি তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। অথচ জোটের আরেক বড় নেতার কথা ভেবে তাকেও নিজের সিটটা ছেড়ে দিতে হয়েছিলো। তবে বড় জোটের মধ্যে এ ধরনের জটিলতা স্বাভাবিক। সেই জটিলতা এক পর্যায়ে সমাধানও হয়ে যায়। কারণ প্রতিটা জোট দেয়া- নেয়া এবং ছাড় দেওয়ার মানসিকতার ভিত্তিতেই গঠিত হয়। সূত্র : বিবিসি বাংলা
আপনার মতামত লিখুন :