শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ০৭:৫২ সকাল
আপডেট : ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ০৭:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকা কথাটি ইসিকে দিয়ে কেউ বলিয়েছে?’

রবিন আকরাম : ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হবে এই কথাটি কি নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ নিজ থেকে বলেছেন? না-কি কেউ তাকে দিয়ে বলিয়ে ছেড়েছে?’

বুধবার অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজে একথা লিখেছেন লেখক ও কলামিস্ট মোস্তফা কামাল।

তার ভাষায়, ইসি কিন্তু বেশ স্মার্টলি দিয়েছেন ছবকটা। মূর্তির মতো বা মেরুদণ্ডহীনভাবে নয়। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তে ২০১৪ সালে বেশ নির্ভারই ছিল নির্বাচন কমিশন।

এবারও বিষয়টা তেমন আলোচিত ছিল না। পর্যবেক্ষণের ঝামেলা এবারও থাকবে না বলে একটা ধারণা তৈরি হয়েছিল। ছিল প্রচারণাও। কিন্তু রাজনীতির নতুন মেরুকরণে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় এ পরিবর্তন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণেও আগ্রহ দেখায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা। ততক্ষণে নির্বাচন কমিশন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নীতিমালায় কিছু ধারা যোগ করেছে।

যথানিয়মে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহী বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগে আবেদন করতে হবে। আবেদন যাচাই করে অনাপত্তির জন্য ইসি তা পাঠাবে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্র থেকে সরাসরি সম্প্রচার অথবা ফেসবুক, টুইটার বা অন্য যেকোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষকরা গোপনে বুথে যেতে পারবেন না। সব সময় ইসির সরবরাহ করা পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। মেনে চলতে হবে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার আইনগত নির্দেশনা। ভোট গণনার সময় একটি পর্যবেক্ষক দল থেকে একজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

বিশ্বের দেশে দেশে বিখ্যাত অনেক ব্যক্তির মূর্তি রয়েছে। জীবদ্দশায় তারা মূর্তির মতো চুপ করে ছিলেন না বলেই সমাজ ও সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে। এর চিহ্ন হিসেবেই তারা এখনো মূর্তিমান। তাহলে জীবিত মানুষ কেন মূর্তি হবে? কেন এমন ছবক এলো নির্বাচন কমিশন থেকে? তাদের ভয় বা সমস্যাটা কোথায়? একটি স্বচ্ছ নির্বাচন দিতে কি কমিশন প্রস্তুত নয়? তারা কি কিছু লুকাতে চায়?

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন বলেছেন, পর্যবেক্ষকদের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলেছেন, ব্রিটিশ রয়াল আর্মির কথা। যারা মূর্তির মতো ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। নির্বাচনের সময় বিদেশি পর্যবেক্ষকদেরও তা-ই করতে হবে। তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না। মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়