গাজী খায়রুল আলম : অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে আগামী নির্বাচন হবে। বিরোধী দলও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়। সুতরাং নির্বাচন হবে আশা করা যায়। তবে নির্বাচন কেমন হবে সেটাতো আর আগেই বলা যাচ্ছে না। সুষ্ঠু হবে নাকি অসুষ্ঠু হবে তা অনেক খানি নির্ভর করবে সরকারের উপর। সরকার যদি নার্ভাস হয় বা সরকার যদি নিজেদের বিজয় সম্পর্কে আতঙ্ক থাকে অথবা নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জয়ী হবে কিনা এই আস্থাবোধ না থাকে তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু নাহওয়ারই সম্ভাবনা বেশি।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, যতো বেশি সরকার আতঙ্কে থাকবে ততবেশি নির্বচন নিজেদের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করবে। যত বেশি আস্থাবোধ হারাবে ততবেশি নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতিষ্ঠাণগুলোবে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করবে। আথবা নির্বাচনের আনিয়মের পথে হাটবে। তাই আমরা আশা করবো সরকার যেন আতঙ্কিত না হয়ে। দেশে যেন একটি গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়। নির্বাচনে বড় দুইটি দলেই তাদের প্রার্থী দিয়েছে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেখলাম। সেখানে শেয়ার মার্কেট ধ্বসের মূল নায়ক, মাদক সম্রাটের প্রতিনিধি, ব্যাংক লুণ্ঠণকারী, যারা শেয়ার বাজার থেকে বিপুল আর্থ প্রাচার করেছে, খেলাপি ঋণ যারা নিয়েছে। তারা সবাই সংসদে যাওয়অর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা সংসদে যাওয়া মানে আবারও দেশে আগের মতোই প্রতিনিধিত্বমূলক কার্যকলাপ হওয়া। সংসদ প্রতিনিধিত্বমূলক হওয়া। তাই আমরা চাই জাতীয় সংসদে এমন নির্বাচিত সাংসদ যাবে , যারা দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :