এস এম নূর মোহাম্মদ : অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে অালম বলেছেন, কেউ মুক্তি লাভের পরও নির্বাচন করতে ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
তবে সংবিধানের ৬৬ এর ২ (ঘ) ধারায় বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি নৈতিক স্খলন জনিত কারনে দোষি সাব্যস্ত হয়ে অনূন্য ২ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং মুক্তি লাভের পর ৫ বছর অতিবাহিত না হলে তিনি সংসদ সদস্য হতে পারবেন না। কিন্তু কেউ খালাস পেলে কি হবে সে বিষয়ে সংবিধানে কিছু উল্লেখ নেই।
তবে অাইনজ্ঞরা জানান, কেউ খালাস পেলে সে তো অার দোষি থাকে না। সে ক্ষেত্রে তার নির্বাচনে বাধা হবে কেন?
অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ অাইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, উনি মনোনয়ন না পেয়ে ইমব্যালান্স (ভারসাম্যহীন) হয়ে গেছেন।
তার এ বক্তব্য বেঅাইনি। এখন একটি দলের মনোনয়ন কিনে তিনি দলীয় অ্যাটর্নি জেনারেল হয়ে গেছেন। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষায় এ মুহূর্তে তার পদত্যাগ করা উচিত।
মাহবুব হোসেন বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ ধারা অনুযায়ী উচ্চ আদালত কারো দণ্ড স্থগিত করলে সেটি আর বহাল থাকে না। সেক্ষেত্রে তার নির্বাচনেও কোনো বাধা থাকে না। এর আগে মহিউদ্দিন খান আলমগীর এবং মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, দণ্ডিত অবস্থায় আপিল করে নির্বাচন করে মন্ত্রী হয়েছেন। এক দেশেতো দুই আইন হয় না।
আপনার মতামত লিখুন :