আশিক রহমান : আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগকে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। প্রথমত দলে অভ্যন্তরীণ যে কোন্দল রয়েছে, যা স্বাভাবিকভাবে বিগত একবছরে বেড়েছে, সেটি সামলানো। নির্বাচনে জয় লাভ করতে হলে অবশ্যই আওয়ামী লীগ কোন্দল নিরসন করে শক্তিশালীভাবে ভোটে অংশগ্রহণ করতে হবে। দ্বিতীয় এক আসনে বহু প্রার্থীর মনোনয়নপত্র কেনা। যারা মনোয়ন পাননি, তারা বিদ্রোহী হলে আজীবনের জন্য বহিষ্কার, এমন একটি হুঁশিয়ারি দলটির পক্ষ থেকে আছে। কিন্তু এটা কতোটা কাজ করবে, কিংবা আদৌ কাজ হবে কিনা, না হলে কী করতে হবে, কৌশল নির্ধারণ এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়াটাও আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
আওয়ামী লীগ একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে যাচ্ছে। ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন এটি নয়। ঐক্যফ্রন্ট যেভাবেই একত্রিত হোক না কেন, নির্বাচনে একটি শক্তি হিসেবে দাঁড়াবে। সেজন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থীর শক্তিও গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করার ক্ষেত্রে বড় রকমের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে।
গবসময় একটা শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, এবারের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য মানের হবে কিনা। না হলে এ ব্যর্থতার দায়ভার নির্বাচন কমিশনকে কতোটুকু দেওয়া হবে, তার চেয়ে বেশি দেওয়া হবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে। সরকারের একটি দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেশ ও দেশের সবাই দেখানো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। এটা অনেক বড় চালেঞ্জ আওয়ামী লীগের জন্য।
আপনার মতামত লিখুন :