গাজী খায়রুল আলম : যেকোনো রাজনৈতক দল থেকে যে প্রার্থী দেওয়া হয়, তা দেখে-শুনে ভালো লোককেই দেওয়া হয়। তা নিয়ে মন্তব্য করার তেমন কিছু নেই। আমাদের নতুন সময়ের সাথে আলাপকালে এমনটি বলেন সিনিয়র সাংবাদিক আফসান চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, বড় দুই দলই প্রার্থী দিয়েছে। আমার চোখে কেউ খারাপ নয়। তবে বিএনপি নির্বাচনে আসছে এটিই ভালো কথা। এতো সমস্যার সম্মুখীন হয়েও তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইতোমধ্যে প্রার্থীর নমিনেশ দিয়েছে। এটি নির্বাচনের জন্য একটি পজেটিভ দিক। এ দেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগের জন্যও এটি একটি সুসংবাদ। যে সংসদে সংসদ সদস্যরা একা থাকেন, তাদের কোনো বিরোধী সংসদ সদস্য থাকে না। সে সংসদ, সংসদ নয়। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যে দলই জয়ী হোক না কেন, দুই দলের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাই সংসদে থাকবেন। এটি রাজনৈতিক দলের জন্যও কল্যাণকর, দেশের জনগণের জন্যও কল্যাণকর।
আফসান চৌধুরী বলেন, পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে আগামী নির্বাচন মোটামুটিভাবে গ্রহণযোগ্য হবে। সবাই বলে নির্বাচন কমিশনারকে চুপ করে থাকা উচিত। কিন্তু আমাদের মতো জনগণের বোঝা উচিত এই দেশে নির্বাচন আসলে একজন অসাধারণ নির্বাচন কমিশনার পাবো তা আশা করা ঠিক নয়। এমন নির্বাচন কমিশনার আশা করলে বেশি আশা করা হবে। তবে আমরা চাই এই নির্বাচনটিতে দেশের সবাই সন্তুষ্ট না হলেও যেন অসন্তুষ্ট না হয়। তবে এটি অন্তর্বতীকালীন ভাবা উচিত, আমাদের দেশের যে রাজনৈতিক দক্ষতা থাকা উচিত তা এখন আর নেই। আশা করছি এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই দক্ষতা অর্জিত হবে। ফলে এই নির্বাচনের পরের নির্বাচনটি আরও বেশি ভালো হবে। তার পরেরটি আরো বেশি উন্নত হবে। তবে এটি একটি প্রক্রিয়া মাত্র।
তিনি বলেন, সংলাপ যেমন একটি প্রক্রিয়া, নির্বাচনও একটি প্রক্রিয়া। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো শুধু ক্ষমতার ক্ষমতা বলে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। আমরা দেখেছি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ এই তিনটি নির্বাচনে আমরা ভেবেছিলাম এই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ঠিক হয়ে গেছে। কিন্তু ২০০৬ সালের অবস্থা দেখে বুঝতে পাড়লাম প্রক্রিয়াটি এখনো ঠিক হয়নি। অনেকদিন দরকার একটি নির্বাচন প্রক্রিয়া ঠিক হতে। তাই একটি সবল নির্বাচন কাঠামো প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই নির্বাচনটি একটি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেখা উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :