রফিক আহমেদ : গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত যা যা করেছে তাতে তারা জনগণের ভরসা অর্জন করতে পারেনি, কিন্তু তারপরও আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় হাতিরপুল দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী পরিবেশ, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা, গণসংহতি আন্দোলনের অংশগ্রহণের পরিপ্রেক্ষিত এবং প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়।
জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নিলু, ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখতার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, মনিরউদ্দীন পাপ্পু, আবু বকর রিপন, জুলহাসনাইন বাবু ও আরিফুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর দিতে গিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও সংলাপ শুরুর প্রথম থেকেই আমরা এই নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন দাবি করে আসছি। কেননা যে নির্বাচন কমিশন নিজেরাই ‘নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না’ বলে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, কেবলমাত্র জনগণের অংশগ্রহণ এবং সক্রিয়তাই একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। এই নির্বাচনে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। গণসংহতি আন্দোলন সারা দুনিয়ার মানুষের সংগ্রামের ফসল হিসেবে যে
সার্বজনীন ভোটাধিকার অর্জিত হয়েছে তাকে রক্ষা করা গণতান্ত্রিক কর্তব্যের অংশ মনে করে। দেশে একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অংশ হিসেবেই গণসংহতি আন্দোলন এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থীর তালিকা : ঢাকা-১২ সংসদীয় আসনে- মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি (জোনায়েদ সাকি), চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসনে- সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মারুফ (হাসান মারুফ রুমি) ও পাবনা-১ সংসদীয় আসনে- মো. জুল হাসনাইন (জুলহাসনাইন বাবু)।
সম্পাদনা- মাহবুব আলম
আপনার মতামত লিখুন :