সাদিকুর রহমান সামু, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের সুনছড়া থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করার বিষয়ে এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসনিকভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তা কেউ মানছে না।
এলাকাবাসী জানান, গত বছর সুনছড়ার বালুঘাট ইজারা হয়েছিল ৮ লাখ টাকায়। এ বছর কোন ইজারা হয়নি। তবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের চলছে মহোৎসন। ছড়া থেকে উত্তোলনকৃত বালু উত্তোলনকারীরা প্রতি ট্রাক বালু ১৬০০ টাকা থেকে ১৭০০ টাকায়, প্রতি ট্রলি বালু ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় এবং প্রতি ঠেলা বালু ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
এ ব্যাপারে আলাপকালে কমলগঞ্জ ভূমি অফিসের উপ সহকারী কর্মকর্তা বিদ্যাধন সিনহা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তিনি সম্প্রতি তদন্ত করেছেন। গত ২০ নভেম্বর এক অভিযানে এসে বালু উত্তোলনের কিছু সামগ্রীও জব্দ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত যোগিবিল গ্রামের হামিদ মিয়া বলেন, তিনি নিজের প্রয়োজনে কিছু বালু উত্তোলন করে ব্যবহার করেছেন মাত্র। অপর অভিযুক্ত আব্দুর রহিম জানিয়েছেন, তিনি নিয়মিত থানায় যোগাযোগ রক্ষা করে এ ছড়া থেকে বালু উত্তোলন করছেন। বালুঘাট ভূমি অফিস থেকে কোন ইজারা নেননি। তবে নাম প্রকাশ না করে তিনি আরও বলেন, সরকার দলীয় অনেক নেতাই তার এই ব্যবসা থেকে পার্সেন্টিজ নিচ্ছেন।
আব্দুর রহিমের বক্তব্য সম্পর্কে কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, বালুঘাট ইজারা থানা পুলিশের এখতিয়ারভুক্ত নয়। এর দায় দায়িত্ব উপজেলা ভূমি অফিসের। নিজেকে রক্ষা করতেই আব্দুর রহিম মনগড়া কথা বলেছে।
কমলগঞ্জের ইউএনও আশেকুল হক বলেন,এ বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :