রাশিদ রিয়াজ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম যাতে বৃদ্ধি না পায় এজন্যে সৌদি আরবকে অধিক তেল উত্তোলনের অনুরোধ জানানোর পর দেশটির ইতিহাসে এ যাবৎকারের সর্বোচ্চ পরিমান তেল উত্তোলন করছে সৌদি। ভেনিজুয়েলা ও ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করার পর যাতে বিশ^বাজারে দেশদুটি তেল বিক্রি করতে না পারে এবং সেই ঘাটতি মোকাবেলা ও তেলের দর ঠিক রাখতেই ওয়াশিংটন রিয়াদকে অতিরিক্ত তেল উত্তোলন করতে বলে। এ আদেশ অক্ষরে অক্ষরেই পালন করছে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ সৌদি আরব। স্পুটনিক
নভেম্বরে সৌদির প্রতিদিন তেল উত্তোলন পূর্বের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে দাঁড়ায় ১১.৩ মিলিয়ন ব্যারেল। অক্টোবরের চেয়ে নভেম্বরে দিনে ১০ লাখ ব্যারেল বেশি তেল উত্তোলন করেছে সৌদি। ওপেক সদস্য দেশ ছাড়াও রাশিয়া ২০১৬ সাল থেকে তেল উত্তোলন হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিলেও রাশিয়া অবশ্য বাড়তি তেল উত্তোলন করছে যার পরিমান সোভিয়েত আমলের চেয়েও বেশি অর্থাৎ দিনে ১১.৪ মিলিয়নে পৌঁছেছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দর নেমে ব্যারেল প্রতি ৫০ ডলারে নেমেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তেলের দর আরো নেমে ৪০ ডলারে স্থির হলে আশ্চর্যের কিছু নেই। বিষয়টি পর্যালোচনার জন্যে ওপেক জরুরি বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছে।
তবে সৌদি তেলশিল্প সূত্রগুলো বলছে তারা চায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দর ব্যারেল প্রতি ৭০ ডলারের ওপরে থাকুক। সৌদি তেলমন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ বলেছেন, ডিসেম্বরে তেল উত্তোলন প্রয়োজনে কমাতে পারে তার দেশ। তবে তেল উত্তোলন বৃদ্ধির সৌদি সিদ্ধান্তকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার দেশে কর ছাড়ের সঙ্গেই তুলনা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :