রাশিদ রিয়াজ : গত বছর বাংলাদেশে প্রকৃত মজুরির হার ৩ শতাংশ হ্রাসের তথ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বলেছে এক দশকে প্রকৃত মজুরি বেড়েছে ৩.৪ শতাংশ। একই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রকৃত মজুরি বেড়েছে ৩.৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে মজুরি বলতে বড় কর্মকর্তা থেকে শ্রমিকদের আয় ধরা হয়েছে। বাংলাদেশে মজুরি বৈষম্য কম, নারী-পুরুষের মজুরি বৈষম্যের ক্ষেত্রেও বেশ ভাল অবস্থান রয়েছে। ৭০টি দেশের মজুরি বিশ্লেষণে দেখা গেছে পুরুষের চেয়ে নারীরা ২০ শতাংশ কম বেতন পাচ্ছে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা গেছে পুরুষ ও নারীর মধ্যে বেতন বৈষম্য বেশ ইতিবাচক যা অস্ট্রেলিয়া, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে তুলনীয়। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস
সোমবার প্রকাশিত আইএলও’র ‘গ্লোবাল ওয়েজ রিপোর্ট ২০১৮/১৯’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে বলা হয় ২০১৫ সালে সাড়ে ৩ ও ২০১৬ সালে ৩.৬ শতাংশ প্রকৃত মজুরি বেড়েছে বাংলাদেশে। এর আগে ২০১৩ সালে ৬.২ ও ২০১৪ সালে ২.৪ শতাংশ প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধি পায়। দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ, এরপর নেপালে বেড়েছে ৪.৭ ও শ্রীলংকায় ৪ শতাংশ।
এদিকে বৈশি^ক মজুরি যা মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করা হয় তা গত বছর ১.৮ ও তার আগের বছর ২.৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বিশ^মন্দার কারণে গত বছরে এ বৈশি^ক মজুরি হার ছিল ২০০৮ সাল থেকে সবচেয়ে কম। ১৩৬টি দেশের মজুরি বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করে আইএলও এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। জি-টুয়েন্টি দেশগুলোর মজুরি গত বছর শূন্য দশমিক ৪ ও তার আগের বছর শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ হ্রাস পায়। আইএলও’র মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেছেন, উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে জিজিপি প্রবৃদ্ধি ও বেকারত্ব হ্রাস সত্বেও ধীর মজুরি দেখা যাচ্ছে যা হতাশা জনক।
আইএলও’র মজুরি বিশেষজ্ঞ রোসালিয়অ ভ্যাজকুয়েজ-আলভারেজ বলেন, অনেক দেশে নারীরা পুরুষের তুলনায় উচ্চ শিক্ষিত হয়েও তাদের তুলনায় বেতন কম পাচ্ছে। এর প্রধান কারণ নারীর কাজে অবমূল্যায়ন।
আপনার মতামত লিখুন :