শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১১:১০ দুপুর
আপডেট : ২৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১১:১০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আরইবি’র শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচিতে অগ্রগতি নেই

শাহীন চৌধুরী: বাংলাদেশ পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডে আরইবি’র শতভাগ বিদ্যুতায়ন কমৃসূচিতে তেমন অগ্রগতি নেই। চলতি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দেশের সব উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেয়া হলেও বাস্তবে তা সম্ভব হচ্ছে না। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে আরও এক বছর সময় লাগবে বলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

যদিও সরকারের ঘোষণা ছিল ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সব ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে। এই ঘোষণাকে আরও একধাপ এগিয়ে আরইবি জানিয়েছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সরকারের শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের প্রকল্প তারা শেষ করবে। বছরের প্রায় দশ মাস পেরিয়ে দরজায় কড়া নাড়ছে ডিসেম্বর। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, চলতি বছর শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। এখন প্রতিষ্ঠানটি বলছে আগামী বছরের মাঝামাঝি প্রকল্পটি শেষ হবে কিন্তু বাস্তব অবস্থা হলো এই প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হতে সময় লাগবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

সূত্রমতে, দেশের ৪৬০ উপজেলার মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৩৯ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। ডিসেম্বর নাগাদ আরও ৮০ উপজেলায় বিদ্যুৎ পৌঁছানোর চেষ্টা করছে আরইবি। সবমিলিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩১৯ উপজেলা শতভাগ বিদ্যুৎ পেতে পারে। অবশিষ্ট উপজেলায় সংযোগ দিতে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত টার্গেট নির্ধারণ করা হলেও তা ডিসেম্বর পর্যন্ত গড়াবে।

উল্লেখিত সময়ে শতভাগ বিদ্যুতায়ন না হওয়ার কারণ হিসেবে আরইবি সূত্রগুলো পরিকল্পনা মাফিক সব লাইন নির্মাণ করতে না পারাকে দায়ী করছে। এছাড়া রয়েছে বিদ্যুতের ব্যাপক চাহিদা। এখনও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো প্রতিমাসে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছে। মাস পার হতেই আবার লাখ লাখ আবেদন এসে জমা হচ্ছে। নতুন করে আবার সেসব সংযোগ দিতে হচ্ছে।

কর্মকর্তারা জানান, আগে কোন কোন ক্ষেত্রে বিদ্যুতের মিটার পাওয়া একটু কষ্টকর ছিল। আবেদন করার পর সংযোগ পেতে একটু বেশি সময় প্রয়োজন হতো। এখন যেহেতু শতভাগ সংযোগের কাজ চলছে তাই সংযোগ দেয়া দ্রুত এবং সহজতর হয়েছে। সঙ্গত কারণে আগে একটি মিটার থেকে গ্রামের অনেকগুলো পরিবার বিদ্যুৎ ব্যবহার করতো। এখন তারা প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন মিটার নিচ্ছে। যাতে করে ব্যবহারকারির সংখ্যা বাড়ছে। নতুন সংযোগের পরিমাণও বাড়ছে। তবে কোন কোন এলাকায় বিদ্যুৎ থাকার পরও এত বেশি সংখ্যক সংযোগ দিতে হবে তা আমাদের ধারনা ছিলনা। শুধু সংযোগ দিলেই হয় না। সেখানকার ট্রান্সফরমার, লাইন এবং সাবস্টেশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হয়। এইসব কাজ করতে বেশ সময় প্রয়োজন। আমরা অনেক দ্রুত কাজ করছি কিন্তু তাও এই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করা যাবে না।

আরইবি জানায়, দেশের ৪৬০ উপজেলার মধ্যে প্রথম দফায় ৭৯ উপজেলা এবং দ্বিতীয় দফায় আরও ১৬০ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া ৮০ উপজেলা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে। সে হিসেবে ডিসেম্বর নাগাদ ৩১৯ উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা যাচ্ছে। বাকি থাকবে আরও ১৪১ উপজেলা।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ৩১ জুলাইয়ের হিসেব অনুযায়ী দেশের ছয়টি বিতরণ কোম্পানিতে নতুন সংযোগের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছিল ১ কোটি ৮৭ লাখ ১১ হাজার ৭৮০টি। এরমধ্যে ১ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ১৭৭টি বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। সংযোগবিহীন আবেদন জমা আছে ৭ হাজার ৬০৩টি। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও সময় প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়