হ্যাপি আক্তার : একটি দলকে সুবিধা দিতেই নির্বাচন কমিশন স্বপদে থেকে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের জাতীয় নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সময় টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'এর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিলো না। এটার পেছনের উদ্দেশ্য কী তারাই বলতে পারবে। যে আইন ছিল সেই আইনে তো বহুদিন চলেছে। কেন পদত্যাগ করে নির্বাচন করতে হবে? নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই মনে হচ্ছে, সিদ্ধান্তগুলো একটা নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে একটা গোষ্ঠী, দলকে সুযোগ দেয়ার জন্য।'
তিনি আরো বলেন, 'এই সমস্ত সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের তো কোন প্রয়োজন নাই। এগুলো তো চলে আসছে। কেউ যদি লোকাল গভমেন্ট থেকে সংসদে যেতে চায় তাকে বাধা দেয়ার তো কোন সুযোগ নাই। এটা তো সবার অধিকার।'তবে, নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ। তারা বলছে, এর ফলে বড় দলগুলো থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা অনেক প্রার্থী আপনাআপনি বাদ পড়ে যাবে। ফলে চ‚ড়ান্ত মনোনয়ন দেয়াও অনেক সহজ হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলির সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, 'আমাদের যারা নমিনেশন পেয়েছেন তাদের ভেতরে কিন্তু আমরা কোনো উপজেলা চেয়ারম্যান বা জেলা পরিষদ, তাদের সুযোগ দেইনি। ৪ হাজারের ওপরে আমাদের মনোনয়ন বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে কমপক্ষে ১ হাজার উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র বা এরকম প্রার্থী ছিলো। সব দলের জন্য এটি সুবিধা হবে। কারণ আইনের বাধায় তাদের খুব একটা সান্তনা দিতে হবে না । চেষ্টা করা হচ্ছে সকলকেই কিছু না কিছু দিয়ে সন্তুষ্ট করার জন্য। ২০০৮ সালে পৌর মেয়রের পদে থেকে এবং ২০১৪ সালে উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :