অপু খান : আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ একটি আত্মীয়তার সম্পর্কের দেশ। যেকোন ভাবেই দেখা যাবে আমরা একে অপরের আত্মীয়। সিইসির ভাগ্নে তারাও আত্মীয়। সেক্ষেত্রে সিইসির ভাগ্নের অধিকার আছে নির্বাচন করার। সোমবার রাতে ডিবিসি টেলিভিশনের ‘রাজকাহন’ টকশোতে তিনি এ কথা বলেন।
আফজাল হোসেন বলেন, শাহজাদা আমার এলাকার ছেলে তাকে আমার ভালোই মনে হয়েছে। তরুণনেতা নির্বাচনে জয়ী হবার মতো প্রার্থী। এর আগে যিনি প্রার্থী ছিলেন, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন তার রাজনৈতিকভাবে দীর্ঘ অতীত আছে। প্রধানমন্ত্রী তার সম্পর্কে বিভিন্ন ভাবে আলোচনা করে ১/১১ পরেও কিন্তু তাকে জায়গা করে দিয়েছিলেন। আমি মনে করি কারও হতাশ হবার কিছু নেই। শেখ হাসিনা কোনো না কোনোভাবে তাদের মূল্যায়ন করবেন। শেখ হাসিনা সাবাইকে কিন্তু একটি ছাতার মধ্যেও নিয়ে এসেছেন।
আফজাল হোসেন নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচন তো বরাবরই একটি কৌশল। এবং সেকৌশলে তো আমাদের বিজয়ী হতে হবে। দেখুন আমরা বেশ কিছু আসনে দুজন করে প্রার্থী দিয়েছি। একজন প্রার্থীর কোনো সমস্যা থাকতে পারে , শেষ পর্যন্ত এসে বাদ পড়তে পারেন এটা এক ধরনের কৌশল। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন আমরা একটু এগিয়ে আছি, কারণ ২৩১ জন প্রার্থী ঘোষণা আমরা করেছি। বিভিন্ন জরিপের ভিত্তিতে চুলচেড়া বিশ্লেষণ করে আমাদের নেত্রী মনোনয়ন দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এই মুহুর্তে দলের জন্য নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ আমরা সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছি। জাতীয় পার্টির প্রার্থীও কয়েকদিনের মধ্য ঘোষণা করা হবে। ৩০০ আসনে নৌকা মার্কার পক্ষে দেশবাসিকে সাথে নিয়ে নির্বাচনী যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে পারবো। এবং সেই যুদ্ধে আমরা বিজয়ের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাবো।
তিনি জানান, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল, এ দলে অনেক যোগ্য প্রার্থী আছে। তারা তাদের অনুসারিদের নিয়ে এলাকায় কাজ করেছেন তাই তাদের সমর্থকরা একটু মনোক্ষুন্ন তাদের নেতারা মনোনয়ন পায়নি তাই। তবে এটা আবেগের। আমি নিজেও এক দশক নির্বাচনের জন্য কাজ করেছি। কাজ করতে গিয়ে মানুষের সাথে একটা আবেগের জায়গা তৈরি হয়েছে। আমি মনোনয়ন পাইনি তাতে কোনো দু:খ নেই আমার। আমি মনে করি আমার দল আমাকে যথেষ্ট পরিমান মূল্যয়ন করেছে। আমি দলের কাছে ঋণি।
আপনার মতামত লিখুন :