অনলাইন ডেস্ক : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬টি সংসদীয় আসনে ২১ লাখ ২৪ হাজার ৪১১ জন ভোটার ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে (ইভিএম) ভোট দেবেন। এসব আসনের ৮০০টি কেন্দ্রের ৪ হাজার ২৬৭টি ভোট কক্ষে ইভিএম থাকবে। তথ্য- সারাবাংলা
আসন ছয়টি হলো- ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ এবং সাতক্ষীরা-২। এই ৬টি আসনের ৩টিতে বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বাকি ৩টিতে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রয়েছেন। ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে এসব কেন্দ্রের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
এর আগে, সোমবার বিকালে ইসির সম্মেলন কক্ষ দৈবচয়নের মাধ্যমে সারাদেশের ৪৮টি আসন থেকে ৬টি আসন চূড়ান্ত করা হয়। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৭টি আসন থেকে ১টি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭টি আসন থেকে ১টি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে ১টি, বাকি ১০ সিটি করপোরেশন থেকে ২টি এবং ২১টি জেলা সদর থেকে ১টি আসন দৈবচয়নের মাধ্যমে ইভিএম ব্যবহকর করার জন্য বেছে নেওয়া হয়।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে চাহিদা অনুযাযী ইভিএম পেয়ে যাব। সেনাবাহিনীর টেকনিক্যাল কোরের সদস্যরা এবং নির্বাচন কমিশনের দক্ষ লোকজন ইভিএম পরিচালনা করবেন।’
যে ৬ আসনে ইভিএম
ইসি সূত্র জানায়, ইভিএমর প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি করে ইভিএম থাকবে। কোনো ধরনের ত্রুটি দেখা গেলে ‘স্ট্যান্ডবাই’ থাকবে তিনটি করে ইভিএম। সাধারণত প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ৫টি ভোটকক্ষ থাকে, আর প্রতিটি ভোট কক্ষে গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ জন ভোটারের জন্য একটি ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সে হিসাবে ৬টি আসনে সাড়ে চার হাজার ইভিএম লাগবে। তবে ইভিএমে কোনো ক্রটি দেখা দিলে তা মোকাবিলায় বিকল্প হিসাবে চাহিদার দ্বিগুণ পরিমাণ ইভিএম প্রস্তুত রাখা হবে।
ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হচ্ছে এমন ৬টি আসনে যারা রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের সাদেক খান, ঢাকা-৬ আসনে মিজানুর রহমান খান, রংপুর-৩ আসনের মহাজোট ও জাতীয় পার্টির এমপি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।, চট্টগ্রাম-৯ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, খুলনা-২ মনোনয়ন পেয়েছেন শেখ জুয়েল, সাতক্ষীরা-২ আসনে বর্তমান এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি হলেও আসনটি এখনো মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়নি।
ইভিএম এলাকার ৬টি সংসদীয় আসনে এবার ৮০০ কেন্দ্রের বিপরীতে ৪ হাজার ২৬৭ ভোটকক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-৬ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৬৯ হাজার ২৭৬ জন, ভোটকেন্দ্রেও সংখ্যা ৯৮ টি, ভোটকক্ষ ৫৩৩টি। ঢাকা-১৩ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৬৯ জন, ভোটকেন্দ্র ১৩৪ টি, ভোটকক্ষ ৭০১ টি। চট্টগ্রাম-৯ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯০ হাজার ৩৬৩ জন, ভোটকেন্দ্র ১৪৪, ভোটকক্ষ ৭৪৩টি।
এছাড়া রংপুর-৩ আসনে মোট ভোটর ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬৭৩ জন, ভোটকেন্দ্র ১৩০টি, ভোটকক্ষ ৯১০টি। খুলনা-২ আসনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯৪ হাজার ৬২ জন, ভোটকেন্দ্র ১৫৭টি, ভোটকক্ষ ৬৮২টি। সাতক্ষীরা-২ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৮ জন। ভোটকেন্দ্র ১৩৭টি ভোটকক্ষ ৬৯৮টি।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১০ ডিসেম্বর।
আপনার মতামত লিখুন :