ফাহিম আহমাদ বিজয় : সাবেক জজ ও রাজনৈতিক বিশ্লষক ইকতেদার আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নিজস্ব মূল্যায়নকে প্রাধান্য দিয়েছে। বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে জনমত জরিপ করে তারা প্রার্থী নির্ধারণ করেছে। আওয়ামী লীগ যেহেতু জোটগতভাবে নির্বাচন করছে, তাই জোটের অন্যান্য শরিকদের জন্য কিছু আসন ছেড়ে দিতে হবে। জোটদেরকে আসন ছেড়ে দেয়ায় আওয়ামী লীগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী বাদ পড়েছে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, পটুয়াখালি এক আসনে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, তিনি কখনো আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তিনি হচ্ছেন, সিইসির আত্মীয়। এই বিবেচনায় যদি দেয়া হয়ে থাকে, তাহলে এটি খুবই দুঃখজনক। আর যাকে বাদ দেয়া হয়েছে, তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গ দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তারা হচ্ছেন, আওয়ামী লীগের নীতি এবং আদর্শকে আঁকড়ে ধরা রাজনীতিবিদ। এমন নেতারা যখন বাদ পড়েন, তখন কিন্তু তারা হতাশ হন এবং দলের নেতা-কর্মীরাও হতাশ হন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কক্সবাজরে এমপির স্ত্রীকে মনোয়ন দেয়া হয়েছে। ওখানে তো দলের অন্য যোগ্য লোক ছিলেন। এমন একজনকে দেয়া হলো, যিনি পূর্বে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এভাবে যদি মনোনয়নকে পরিবারের গন্ডির মধ্যে বেধে ফেলা হয়, তাহলে দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা কীভাবে মূল্যায়িত হবে? আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। একটি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এক থেকে বায়ান্নজন পর্যন্ত দেখা গেছে। একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে অন্য যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে যদি এমন ভূমিকা পালন করা হয়, তাহলে নেতা-কর্মীদের মাঝে হতাশা কাজ করে, ক্ষোভ কাজ করে। তাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, এতোদিন রাজনীতি করে কী পেলাম? আমরা তো আসলে মূল্যায়িত হচ্ছি না।
আপনার মতামত লিখুন :