শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর, ২০১৮, ০২:১৬ রাত
আপডেট : ২৭ নভেম্বর, ২০১৮, ০২:১৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্বাচন কমিশনের প্রতি

জাকির তালুকদার : এবারের নির্বাচন অনেক কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই নির্বাচনের ওপর। সেই হিসেবে ১৯৭০-এর পরে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনটি অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পড়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর।

স্বাধীনতার পরে কোনো নির্বাচনে পরাজিত হয়নি ক্ষমতাসীন দল। এমনকি স্বৈরাচারী এরশাদের জনসমর্থন না থাকলেও তারাই জিতেছে ভোটে। সেই কারণে দলীয় সরকারের অধীনে সকল নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ। এই প্রশ্নবিদ্ধতা এবং অবিশ্বাস দূর করার মতো সাংবিধানিক ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। তারা ইচ্ছে করলেই ‘সরকারের অধীনের নির্বাচন’কে ‘নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে’ পরিণত করতে পারেন। ভারতে টিএন শেসন সেটি করে দেখিয়েছেন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন আগের কিছু টেস্ট কেসে নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে পারেনি। সিটি করপোরেশনের নির্বাচনগুলো তার প্রমাণ। অবশ্যই কয়েকটি সিটিতে বিরোধী প্রার্থী জয় পেয়েছেন। তবে সেগুলোতেও যে সুষ্ঠু ভোট হয়নি, সেকথা পত্র-পত্রিকায় এসেছে।

আশার দিক হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলে দিয়েছেন, তিনি এবারে কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চান না। অর্থাৎ তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, নির্বাচনে তার সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে নিজে কাজ করতে চাইবে কি না। প্রদত্ত স্বাধীনতা এবং সাংবিধানিক ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটানোর ইচ্ছেটা তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে কি না।

গত দশ বছরে আওয়ামী লীগ তাদের লোকদের ঢুকিয়েছে প্রশাসনে, পুলিশে এবং রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে। আগের পাঁচ বছরে একই কাজ করেছে বিএনপি-জামাতও। দুর্বল গণতন্ত্রের দেশে এমনটি ঠেকানোর পথ নেই। তাদের নিয়েই নির্বাচন কমিশনকে কাজ করতে হবে। তবে কমিশনকে যা করতে হবে তা হচ্ছে, তাদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে যে, তারা এখন রাষ্ট্রের কর্মচারি। জনগণের টাকায় তাদের বেতন-ভাতা হয়। সেই অনুযায়ী দল নয়, রাষ্ট্রের আদেশ মেনে কাজ করতে হবে তাদের। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান পরিচালক নির্বাচন কমিশন। এইসব কর্মচারি-কর্মকর্তা এখন কমিশনের অধীনে। কমিশন যদি তাদের দলীয় মনোভঙ্গিকে পেশাদারী মনোভঙ্গিতে রূপান্তরিত করতে না পারে, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিতে রূপান্তরিত করতে না পারে, সেটি হবে কমিশনেরই ব্যর্থতা।

বিরোধী দল চাইবে কমিশনকে পুরোটা সময় চাপের মধ্যে রাখতে। কমিশনের উচিত হবে, সরকারের চাপের পাশাপাশি বিরোধী দলগুলোর কোনো অন্যায় চাপে ভঙ্গুরতা প্রদর্শন না করা। তবে কমিশনের আচরণে, কাজে, কথায় যদি পক্ষপাতিত্ব দেখা যায়, তখন নির্বাচনটাই হয়ে পড়বে অনিশ্চিত। দেশের ভবিষ্যৎ হয়ে পড়বে অনিশ্চিত। তখন বর্তমান কমিশনও পরিণত হবে আগেরগুলোর মতো ইতিহাসের আবর্জনায়। লেখক : কথাসাহিত্যিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়