জাহাঙ্গীর কবীর : দশম জাতীয় সংসদে ৬০% ব্যবসায়ী সংসদ সদস্য হয়েছিল। একাদশ জাতীয় সংসদে নমিনেশন পেপার কেনার হিরিক দেখে মনে হচ্ছে এবার তা ৮০% এ উন্নীত হবে। যেহেতু আমাদের দেশ উর্ধ্বমুখী তাই এই ধারণাটা ভিত্তিহীন নয়। যদি এরকম চলতে থাকে তাহলে রাজনীতিই হবে ব্যবসায়ীদের অন্যতম আইডেন্টিটি। অদূর ভবিষ্যতে একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ীকে যদি প্রশ্ন করা হয় আপনার পেশা কি তখন হয়তো তিনি সাবলীল ভঙ্গিতে উত্তর দিবেন ‘‘রাজনীতি’’। দেখা যাবে দুই পেশার সমীকরণ এরকম, রাজনীতি=ব্যবসা, ব্যবসা=রাজনীতি।
রাজনীতিকে ব্যবসা মুক্ত করতে চাইলে সেই উদ্যোগ রাজনৈতিক দলগুলোকেই নিতে হবে। রাজনীতি ব্যবসায়ীদের জন্য নিষিদ্ধ নয়। মূলত উড়ে এসে জুড়ে বসার সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে। যাদের সাথে কখনই তৃণমূল জনগণের সাথে সম্পর্ক ছিল না তারা কখনই এদেশের মানুষের দু:খ কষ্ট বুঝবে না। রাজনৈতিক দর্শন একদিনে বা এক বছরে পরিবর্তন সম্ভব নয়। নিজের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাভাবনায় রাজনীতি যতদিন বসবাস না শুরু করবে ততদিন একজন মানুষ রাজনৈতিক হয়ে উঠে না। রাজনীতিকে লালন করতে হয়, ধারণ করতে হয়।
দিন বদলে গেছে। দেশে শিক্ষার হার বেড়েছে। তাই উচ্চশিক্ষিতদেরকে নমিনেশন নিতেও হবে, দিতেও হবে। অন্তত সেটা স্নাতক পর্যায় থেকে। পূর্বের সংস্কৃতি থেকে যদি রাজনৈতিক দলগুলি এখনো বের হওয়ার পথ খুঁজে না পায় তাহলে এই রাষ্ট্র ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। সম্পাদনা : জেকী
আপনার মতামত লিখুন :