শিরোনাম
◈ গাজীপুরে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে চীনা নাগরিকের মৃত্যু ◈ প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর বাতিল ◈ এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ ◈ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ৪ পুলিশ সদস্যসহ আহত ২০ ◈ মার্চ মাসে সারাদেশে ৬২৪ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫০, আহত ৬৮৪  ◈ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে: হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ◈ অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৯ সদস্য আটক ◈ পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ ◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর, ২০১৮, ০২:৫৬ রাত
আপডেট : ২৭ নভেম্বর, ২০১৮, ০২:৫৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কমলনগরে ১ কিমিঃ নদীর বাধেঁ ৮ বার ধস

আমজাদ হোসেন আমু, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের কমলনগর মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে ফের ধস দেখা দিয়েছে। ভেঙে গেছে বাঁধের দক্ষিণ অংশ জিরো পয়েন্ট। ১ কিমিঃ বাধেঁ ১৩ টি পয়েন্টে মোট ৮ টি পয়েন্টে ধস নামে। কোন পয়েন্ট ২-৩ বার ও ভেঙেছে ।হুমকির মুখে রয়েছে পুরো বাঁধ। শীত মৌসুমে বাধেঁ ধস নামায় আতঙ্কে জনগন।

সোমবার (২৬ নভেম্বর ) উপজেলার মাতাব্বর হাট এলাকায় নির্মাণাধীন মেঘনা তীর রক্ষা বাঁধে ধসে পড়েছে। এতে নদীতে ভেঙে পড়েছে জিরো পয়ন্টে বাঁধের প্রায় দুইশ’ মিটার। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু না হওয়ায় বাঁধের দু’পাশের এলাকায় অব্যাহতভাবে ভাঙছে। আশেপাশের এলাকায় ভাঙনের কারণে বাঁধ ধসে পড়েছে। গত বর্ষা মৌসুমেও ওই বাঁধে পাঁচবার ধস পড়ে। অনিয়মের মধ্যদিয়ে নিন্মমানের কাজ করায় বারবার বাঁধে ধস নামছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাধেঁর দক্ষিনে জিরো পয়েন্ট ধস পড়ছে । কিছুদিন পূর্বে ও ধস নেমেছে।এছাড়া ব্লক থেকে ব্লকের দূরত্ব বাড়‍ায় বাঁধের বেশ কিছু অংশ ফাঁকা হয়ে গেছে। এতে করে বাঁধ দুর্ভল হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, কমলনগরে নদী ভাঙন রোধে মাত্র এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ হয়েছে। এ উপজেলা রক্ষায় তা যথেষ্ট নয়। প্রায়োজন আরও ৮ কিলোমিটার বাঁধ। যেটুকু বাঁধ হয়েছে তাতেও নানা অনিয়ম হয়েছে।শীত কালীন বাধেঁ ধস নামায় আতঙ্গে পড়েছে জনগন।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর জানান,বাধেঁ নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা এবং বাধেঁর খুব কাছ দিয়ে বড় বড় জাহাজ যাতায়াত করার কারণে পানির স্রোত বারী হয়।যার কারণেও বাধেঁ ধস নামতে পারে।প্রতিনিয়ত তিন থেকে চার,শ জাহাজ চলাচল করে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে ডাম্পিং না করেই বাঁধ নির্মাণ করেছে। বাঁধ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্মমানের বালু ও জিও ব্যাগ। এ কারণে গত দু বছর বাঁধে কয়েক বার ধস নামে। এছাড়া অন্যত্র থেকে মাটি সংগ্রহ করে বাঁধ নির্মাণ করার কথা থাকলেও নদীর তীর থেকে মাটি উত্তোলন করে বাঁধ নির্মাণ করায় বারবার বাঁধে ধস নামছে। তাই শীত কালীন মৌসুমে ফের ধস দেখা দেওয়া আতঙ্কে রয়েছে কমলনগর এলাকার জনগন।

স্থানীয় লোকজন বলেন, পার্শ্ববর্তী রামগতি উপজেলা সদর আলেকজান্ডারে সেনা বাহিনীর মাধ্যমে সাড়ে তিন কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে উপজেলা সদরসহ বিস্তৃর্ণ জনপদ রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু কমলনগর মাত্র এক কিলোমিটার বরাদ্দ হয়েছে। তা সেনাবাহিনীকে দিয়ে না করিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে করানো হচ্ছে। যে কারণেই বারবার একই অবস্থার তৈরি হচ্ছে।প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের জন্য ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। বরাদ্দকৃত টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার, রামগতির আলেকজান্ডারে সাড়ে তিন কিলোমিটার ও রামগতিরহাট মাছঘাট এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ হওয়ার কথা।

২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১৯ ইঞ্জিনিয়ারি কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন আলেকজান্ডার এলাকায় ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করে সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছে। এদিকে ওই বরাদ্দের ৪৮ কোটি টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার কাজ পায় নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।অর্থ বরাদ্দের দুই বছর পর ২০১৬ সালের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠানটি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংকে দিয়ে কাজ শুরু করে। ওই বছর নিম্মমানের বালু ও জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ শুরু করায় স্থানীয়দের চাপের মুখে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অনিয়মের প্রতিবাদে ও যথাযথভাবে কাজ করার দাবিতে ওই সময় মানববন্ধন করে স্থানীয় এলাকাবাসী। পরবর্তীতে একই বছরের ২৩ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়।

বাঁধ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাইড ইজ্ঞিনিয়ার আফসার বলেন, কমলনগরের মেঘনার ভাঙন প্রতিরোধে মাত্র এক কিলোমিটার বাঁধ যথেষ্ট নয়। তীর রক্ষা বাঁধের দু’পাশেই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। জোয়ার ও ঢেউয়ের আঘাতে ব্লক সরে বাঁধ ধসে পড়ছে। কোম্পানির পক্ষে কিছু কাজ করছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়