রাশিদ রিয়াজ : জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তৈরি পোশাক খাতে ফের কর ছাড়ের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তাভাবনা করছে। এজন্যে বোর্ড একটি প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে দেখছে। গত সেপ্টেম্বরে এনবিআর’এর আয়কর বিভাগ সব ধরনের রফতানি-ভিত্তিক খাতে উৎস করের হার ১ শতাংশ থেকে ০.৬০ শতাংশে নামিয়ে আনে। গত বছর এ হার ছিল ০.৭০ শতাংশ। এবার তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারীর এ হার ০.২৫ ভাগে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস
এধরনের কর হ্রাসের প্রস্তাবনা সরকারের উপর মহলেও বিবেচনা করা হচ্ছে। বিজিএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতেই তারা এধরনের কর ছাড় চাচ্ছেন। তিনি বলেন, দেশে ব্যবসা খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে তৈরি পোশাকের মূল্য গেছে কমে।
বাজেট পাশ হওয়ার পর রফতানিমুখী খাতে সরকার কর ছাড় দিয়ে আসছে। তবে এধরনের কর ছাড়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হোঁচট খায়। ১৯৮৪ সালের ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স অনুসারে রফতানিকারকদের তাদের আয় থেকে অন্তত ১ শতাংশ কর দেয়ার বিধি রয়েছে। এবছরের ফিন্যান্স এ্যাক্ট অনুসারে এনবিআর এ হারেই কর আদায়ের বিধি অপরিবর্তনীয় রেখেছে। তবে দুই বার এসআরও জারি করে সব ধরনের রফতানি খাতে কর ছাড় দেয়া হয়। একই সঙ্গে তৈরি পোশাক খাতে করপোরেট ট্যাক্স রেট ১২ ও গ্রিন ফ্যাক্টরির জন্যে ১০ শতাংশে কমানো হয়। তবে আয়কর আইন অনুযায়ী রফতানিমুখী শিল্পের জন্যে করপোরেট ট্যাক্স দেয়ার কথা বলা হয়েছে ৩৫ শতাংশ। এধরনের কর ছাড়ে এনবিআর আয়কর আদায়ে ১৫’শ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে। রফতানিমুখী শিল্পে ১ শতাংশ হারে কর আদায়ের ভিত্তিতে এনবিআর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। এর আগে সরকার তৈরি পোশাক খাতে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা দিলে কর ছাড়ের সুবিধা দেয়ার আশঙ্কা দেন। এরপর তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারকরা এ মজুরি ঘোষণার পর সরকারের ওপর কর ছাড়ের প্রস্তাব ও চাপ দুই বাড়াতে থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :