রাশিদ রিয়াজ : জরিপে বরং দেখা গেছে কেন্দ্রীয়করণের দিকেই ঝুলে আসে ব্যাংকিং খাতের সিদ্ধান্ত। অধিকাংশ গ্রাহকদের আশা ছিল ব্যাংকিং খাতে বিকেন্দ্রীকরণের সুফল তারা পাবেন। এতে দুর্নীতি কমবে এবং শাখা পর্যায়ে জালিয়াতি ও অপকর্ম থেকে তারা সুরক্ষা পাবেন। একারণেই দেশের ৪৭টি ব্যাংকের ওপর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট এক গবেষণা পরিচালনা করে। চারজন গবেষক এতে অংশ নেন। ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহাইল মুস্তফা বলেন, গত এক দশকেও কেন্দ্রীয়করণের নাগপাশ থেকে ব্যাংকিং খাত মুক্তি পায়নি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে ক্ষমতার অপব্যবহারের অপসংস্কৃতি থেকে সরে না আসা। এছাড়া আর্থিক অনিয়মতো রয়েছেই। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস
গবেষণায় দেখা গেছেন, ব্যাংককিং খাতে ৬৬.৩৫ শতাংশ লোকবল বরং বিকেন্দ্রীকরণে বিরুদ্ধে। আবার এও দেখা গেছে যেসব ব্যাংক বিকেন্দ্রীয়করণের দিকে যতটা ঝুঁকেছে লাভের দিকটিও তাদের করতলগত হয়েছে সহজে। এর ফলে ঋণ প্রদানে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়েছে। শাখা গুলো অযথা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সিদ্ধান্তহীনতা থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছে। গবেষণায় দেখা গেছে কেন্দ্রীয়করণের প্রভাবে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণক্ষমতা শীর্ষ পর্যায়ে রয়ে গেছে। এতে কম লোকবলের মাধ্যমে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত ও অধিক লাভের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে এমন তথ্যও মিলেছে। তবে ঋণ পুনরুদ্ধার বা খেলাপির পরিমান দুটি ব্যবস্থাপনায় একই স্তরে স্থির রয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং সংস্কারের উপদেষ্টা শিশাংশু কুমার চৌধুরী বলেন, ব্যাংকগুলোতে কেন্দ্রীয়করণ ও বিকেন্দ্রীয়করণের মধ্যে যে ব্যবসা চক্রের সমন্বয়ের চেষ্টা তাতে বরং নেতিবাচক ঝুঁকির পরিমান বেড়ে যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :