আমিরুল ইসলাম : মানবাধিকারকর্মী খুশি কবীর বলেছেন, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল নারীর ক্ষমতায়নে বিশ^াস করে কিনা তা বোঝা যাবে নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ নারীকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করলো কিনা তা দেখে। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে নারীর অংশ্রগ্রহণের হার বৃদ্ধি নারীর ক্ষমতায়ন নির্দেশ করে না। এটা নারীর ক্ষমতায়নের অনেকগুলো সূচকের একটি মাত্র। প্রার্থী কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছে, কি উদ্দেশ্যে অংশগ্রহণ করতে চায়, নাকি পুরুষ প্রার্থী অন্য আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে বলে সে তার আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। নারী প্রার্থীর মূল উদ্দেশ্যটা কি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার, তার ওপর নারীর ক্ষমতায়নের ব্যাপারটি নির্ভর করে। নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণে ক্ষমতায়ন নির্দেশ করে কিনা তা তখনই বোঝা যাবে যখন জানা যাবে সে নারী কেন নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। তার মূল উদ্দেশ্য কি? তার পরেও আবার মনোনয়ন পাওয়া এবং নির্বাচনে জয়ী হওয়ার একটা ব্যাপারও রয়েছে বলে জানান তিনি।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি থেকে অনেক নারী মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে। এর মধ্যে শুধু আওয়ামী লীগ থেকেই ৩৪৬ জন নারী মনোয়ন প্রত্যাশী উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারীদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ বৃদ্ধি নারীর ক্ষমতায়নের জন্য একটা আশাবাদের বিষয়। তবে এটাই একমাত্র বিষয় নয়। বেশি সংখ্যক নারী নির্বাচনে প্রাথী হিসেবে মনোনীত হলে, নির্বাচনে জয়লাভ করলে এবং সকল নারী ভোটারের ভোট দেওয়া সুনিশ্চিত করতে পারলে তাতে নারীর ক্ষমতায়নের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে বলেও মনে মনে করেন এই নারী অধিকারকর্মী।
আপনার মতামত লিখুন :