লিয়ন মীর : প্রযুক্তির ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতা বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, দিনদিন শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির ওপর অতিমাত্রায় মোহ বাড়ছে, সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তারা ভীষণভাবে জড়িয়ে পড়ছে। তারা মনে করছে, এখানেই সবকিছু পাওয়া যায়। যার ফলে শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে একা হয়ে পড়ছে। সমাজিক বন্ধন থেকে বিছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। একটা পর্যায়ে গিয়ে তারা যখন নিজেদের মনের কথা বা সমস্যার কথা বলার কোনো মানুষ পাচ্ছে না, তখন তারা হতাশাগ্রস্ত হচ্ছে। আর এমনভাবে অসহায় বোধ করছে যে, বেঁচে থাকার আর কোনো অর্থ খুঁজে পাচ্ছে না এবং একটা পর্যায়ে গিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রামের দরিদ্র পরিবার থেকে শহরে এসে শিক্ষার্থীরা যখন সবকিছুর সাথে তাল মিলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়, তখন আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যায়। কেননা, এই পরিস্থিতিতে তারা না পারে ফিরে যেতে, না পারে পরিবর্তিত সমাজের সাথে খাপ খাওয়াতে। এমন দো-টানা থেকে মুক্তি পেতেই তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বলেই ধারণা আমার।
ড. জিনাত হুদা বলেন, শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে এ যুগে এর সংখ্যা বেড়েছে। উচ্চাকাক্সক্ষা, স্বপ্নভঙ্গ, প্রেমে ব্যর্থ, সমাজিক বিচ্ছিন্নতা ও অতিআবেগের কারণেও শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এমন পরিস্থিতি থেকে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে পারিবারিক সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং সামাজিক বন্ধন বৃদ্ধি করতে হবে বলেও মনে করেন এই সমাজবিজ্ঞানী।
আপনার মতামত লিখুন :