শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর, ২০১৮, ০১:৪৫ রাত
আপডেট : ২৬ নভেম্বর, ২০১৮, ০১:৪৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিশুরাই সবচেয়ে বেশি রক্তরোগে আক্রান্ত

মোহাম্মদ রুবেল: দেশে জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়া ও ব্লাড ক্যান্সার রোগে শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৬৪৮৩ জন। রক্তরোগ ও এর চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণার অভাবে এসব আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এর মধ্যে থ্যালাসেমিয়া ও কেন্সার রোগে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু সহ প্রাপ্ত বয়স্করাও মারা যাচ্ছে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে বলছেন, এটি একটি বংশগত রক্তরোগ। রক্তে অক্সিজেন পরিবহনকারী হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদনে ত্রুটি ঘটে। এর ফলে হিমোগ্লোবিনে তৈরি হয় দুটি আলফা প্রেটিন ও দুটি বিটা প্রোটিনের। এসব প্রোটিনগুলোর উৎপাদন শরীরে কমে গেলে, শরীরের হিমোগ্লোবিন উৎপাদনও কমে যায়। ফলে থ্যালাসেমিয়া রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি ১৪ জনে একজন থ্যালাসেমিয়ার বাহক। প্রতি বছর প্রায় ১০৪০ শিশু বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজর এবং প্রায় ৬৪৪৩ শিশু হিমোগ্লোবিন ইবিটা থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। প্রতিদিন গড়ে ২০ জন থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।

রক্ত পরিসঞ্চালনের মাধ্যেমে একটি শিশুকে ১৫ থেকে ২০ বছর বাঁচিয়ে রাখতে ব্যায় হয় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। যা একদিকে যেমন ব্যয়বহুল অন্যদিকে কষ্টসাধ্যও বটে। থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেমনের মহাসচিব রোগটির প্রতিরোধ সম্পর্কে ডা. মো. আবদুর রহিম আমাদের নতুন সময়কে বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগটির বাহক বাবা-মা হলে এ রোগ সন্তানের হবে। তাই বিয়ের আগে স্ক্রিন পরীক্ষা করা জরুরী। বাবা-মা বাহক হলে তাদের গর্ভস্থ ভ্রূণ পরীক্ষা করে সন্তান গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া দেশে প্রতি বছর প্রায় ১৭ লাখ বিয়ে হয়, যার ৯০ শতাংশই রেজিস্টার্ড। জাতীয়ভাবে বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের আগে বাধ্যতামূলক রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেই আমরা ঝুঁকিপূর্ণ দম্পতি নির্ণয় করতে পারবো। বিশেষজ্ঞদের মতে রক্তরোগের বংশগত আরেকটি জিনগত রোগের নাম হিমোফিলিয়া।

হিমোফিলিয়া একটি অনিরাময়যোগ্য রোগ। সাধারণত দুই ধরনের হিমোফিলিয়া রোগী দেখা যায়, হিমোফেলিয়া-এ এবং হিমোফিলিয়া-বি। ৮৫ শতাংশরোগীর হিমোফেলিয়া-এ এবং ১৫ শতাংশ রোগীর হিমোফেলিয়া-বি হয়ে থাকে। রক্তে ফ্যাক্টর-৮-এর ঘাটতির কারণেহিমোফিলিয়া-এ এবং ফ্যাক্টর-৯-এর অভাবে হিমোফিলিয়া-বি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটলে, শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়্ ফলে শরীরে কোথাও কেটে গেলে রক্তপাত বন্ধ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।

ফলে হিমোফিলিয়া হলে রোগীর খুব বেশি রক্তপাত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রায় ১৬ হাজার হিমোফিলিয়া রোগী রয়েছে। রক্তে জমাট বাঁধার উপাদান কম থাকার কারণে হিমোফিলিয়া রোাগের সৃষ্টি। এ রোগে পুরুষরাই বেশি আক্রান্ত। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বরছেন,রক্তের আরেকটি মরণব্যাধির রোগ ব্লাড ক্যান্সার নিয়ে বলছেন, দিন দিন ব্লাড ক্যান্সার বাড়ছে। ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। দেশে প্রতিবছর প্রায় ১৩ হাজার শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে শিশু ক্যান্সারের ৭৫ শতাংশ নিরাময় করা সম্ভব। সম্পদনায়: হুমাযুন কবির খোকন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়