শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৫ নভেম্বর, ২০১৮, ০৯:০৯ সকাল
আপডেট : ২৫ নভেম্বর, ২০১৮, ০৯:০৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দূর্গাপুরে যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশায় দিনদিন আগ্রহ হারাচ্ছেন পর্যটকরা

কান্তা আইচ রায় : পাহাড়সহ নানা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী অঞ্চল দূর্গাপুর। অপার সম্ভবনাময় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশায় দিনদিন আগ্রহ হারাচ্ছেন পর্যটকরা। পর্যটন ব্যবসার উন্নয়নসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সড়ক সংস্কারসহ এই এলাকায় রেললাইন সম্প্রসারণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে, জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন রেললাইন স্থাপনে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সূত্র: সময় টিভি

ভারতের মেঘালয় রাজ্য ঘেঁষা নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দূর্গাপুর। সীমান্ত জুড়েই রয়েছে সাদা মাটির পাহাড়। এই পাহাড়ে বসবাস করেন সাঙ্গালীসহ কয়েক হাজার আদিবাসী। আর সোমেশ্বরী নদী থেকে সিলিকন বালু ও ভেসে আসা কয়লা উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করেন অনেকেই। তাই পর্যটন শিল্পসহ ব্যবসায়ী অপার সম্ভাবনা রয়েছে এই জনপদে।

কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় ক্রমেই আগ্রহ হারাচ্ছেন পর্যটকরা। শ্যামগঞ্জ থেকে দূর্গাপূর যেতে প্রায় ৩৬ কিলোমিটার সড়কেরই বেহাল দশা। এজন্য, সড়কের সংস্কারসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা পূর্বধলার জারিয়া থেকে দূর্গাপুর-বিরিশিরি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীরা বলেন, ‘রাস্তাঘাট এতই খারাপ যে গাড়ি নিয়ে চলা খুবই মুশকিল। রেল লাইন হলে আমাদের জন্যে অনেক ভাল হবে। আদিবাসীদের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া স্থল বন্দরের জন্যে ভাল হবে।’

সড়কের উন্নয়নে কাজ চলছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন,‘মহাসড়কের জন্যে ৩১৬ কোটি টাকার একটা প্রকল্প নেয়া হয়েছে।’ রেললাইন সম্প্রসারণে প্রকল্প গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, রেল সড়ক নির্মাণের জন্যে প্রস্তাব দিয়ে রেখেছি। সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।

৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত দূর্গাপুর উপজেলায় ১২ কিলোমিটার রেলপথ ও দু'শো ৭৮ দশমিক ২৮ কিলোমিটার পাহাড়ি জনপথ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়