ফাহিম আহমাদ বিজয় : নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমোডর (অব.) ইসফাক ইলাহি চৌধুরী বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশকে ডিপ্লোমেটিক চ্যানেলে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। একইসঙ্গে জাতিসংঘকেও দায়িত্ব নিতে হবে। জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশকে প্রশ্ন রাখতে হবে, ১১ লাখ রোহিঙ্গার খরচ কে চালাবে? কেননা বাংলাদেশের একার পক্ষে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের খরচ বহন করা প্রায় অসম্ভব।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘে আমাদের তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। চীন বারবার বলতে চাচ্ছে যে, আমরা তাদের পাঠাচ্ছি না। তবে আমার মতে, কোনো তৃতীয়পক্ষ, সেটি চীন হোক অথবা জাতিসংঘ তাদের মধ্যস্থতায় যদি এই নিশ্চয়তা আনা যায় যে, রোহিঙ্গারা সেখানে গেলে তারা নিরাপদ থাকবে, তাদের জমি-জমা ফিরে পাবে এবং তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। তাহলে তাদের সেখানে পাঠানো উচিত।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসফাক ইলাহি চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘসহ কিছু কিছু এনজিও আছে, কিছু গোষ্ঠীর স্বার্থ রয়েছে, যতোদিন ডিলে করা যায় ততোদিন তাদের লাভ। আমরা চাই না, আমরা সেই গোষ্ঠীর ফাঁদে পড়ে যাই। তারা কখনো যেতে চাইবে না, আর আমরাও জোর করে পাঠাতে পারবো না এটি তো হতে পারে না। সরকার এখানে একটি উভয় সংকটে আছে। আমার মনে হয়, নির্বাচনের আগে কিছুই হবে না। আপাতদৃষ্টিতে নির্বাচনের আগে কোনো অগ্রগতি হবে বলে মনে হয় না।
আপনার মতামত লিখুন :