স্মৃতি খানম : গণমাধ্যমকে বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে কয়েকটি পক্ষ। সংবাদ প্রচারে বাধা প্রদান করা হয় বিভিন্ন প্রক্রিয়ায়। আসন্ন নির্বাচনে গণমাধ্যমের দায় ও রাজনীতির দায়িত্ব বিষয়ে একাত্তর টেলিভিশনের এক টকশোতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. ফাহমিদুল হক বলেন, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণকারী বিভিন্ন পক্ষের মধ্যেÑ মালিক ও বিনিয়োগকারীরা একটি পক্ষ। বিজ্ঞাপনদাতারা আরেকটি পক্ষ। তাছাড়া প্রেস ফ্রেমও গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে পিয়ার প্রেস ও পাবলিক প্রেস। লবিং ও নানা সোর্স থেকে নানা পক্ষ গণমাধ্যমের ওপর চাপ প্রয়োগ করে তাদের কথা প্রচারের জন্য। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মিডিয়া চুক্তিবদ্ধ।
ড. ফাহমিদুল হক বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মিডিয়া সেন্সরশিপের কথা আমরা জানি। উওর কোরিয়া এবং মিয়ানমারে এখনও মিডিয়া সেন্সরশিপ রয়েছে। মিডিয়া যেসব দেশকে স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বলে আমাদের কাছে উপস্থাপন করছে, অথচ সেসব দেশেই সেন্সরশিপ বেশি দেখা যায়। আমরা সবাই মুক্ত গণমাধ্যম বলতে একটি স্বধীন রাষ্ট্রেকে বুঝি। কিন্তু মুক্ত গণমাধমের নামে, এমন কায়দা-কানুনে চাপ প্রয়োগ করা হয় তা থেকে বের হওয়া কঠিন।
আপনার মতামত লিখুন :