ফাহিম আহমাদ বিজয় : জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সম্প্রতি আমরা হ্যাশট্যাগ মি-টু আন্দোলন দেখতে পাচ্ছি। সেখানে দেখতে পাচ্ছি, শিক্ষক, বস বা এই জাতীয় যারা আছেন, তারাই কিন্তু এই আন্দোলনের মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছেন। যৌন হয়রানি বা ধর্ষণের ঘটনাগুলো ঘটে আসলে যৌন বিকৃতির কারণে। অস্বাভাবিক যৌন লালসার কারণে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পাই, এমন ঘটনাগুলো আসলে অধঃস্তন যারা থাকে তাদের উপর বেশি হয়ে থাকে। যেমন: শিক্ষকের অধীনস্ত থাকে ছাত্রী এবং বসের অধীনস্ত থাকে স্টাফরা। যার কারণে, যৌন বিকৃত মানুষগুলো তাদের উপর নজর দেয়। তারা তাদের অধীনস্তদের উপর লোভাতুর দৃষ্টি দিয়ে থাকে। এই বিকৃতিটা কিন্তু ছোট বেলা থেকেই তাদের মাঝে বিকাশ লাভ করে। তারা নারী দেহের প্রতি অস্বাভাবিক আকর্ষণ অনুভব করে। বিশেষ করে কম বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে তাদের আকর্ষণটা বেশি থাকে।
ডা. তাজুল ইসলাম বলেন, যাদের এমন যৌন বিকৃতি থাকে, তাদের নৈতিক উন্নতি ভালো হয় না। তাদের বিবেক বোধটাও ভালো হয় না। তাদের ব্যক্তিত্বও দৃঢ় হয় না। অন্যান্য বিষয়ে হয়তো তারা অনেক চৌকষ বা মেধাবী হয়ে থাকে। কিন্তু যৌনতার ক্ষেত্রে তারা তাদের বিবেক বোধকে কাজে লাগায় না বা কাজে লাগাতে পারে না। তারা সবসময় সুযোগ খুঁজতে থাকে। তারা সুযোগ পেলে যৌন লালসার শিকার বানিয়ে ফেলে।
তিনি বলেন, এগুলো সাধারণত তিনটি কারণে হয়ে থাকে। এক. তাদের যৌন বিকৃতির কারণে। দুই. নৈতিকতা বোধ বা বিবেক বোধের শৃঙ্খলা কম থাকার কারণে। তিন. অধীনস্তদের ওপর কর্তৃত্ব করার কারণে। অধীনস্তদের ওপর তার একটি নিয়ন্ত্রণ থাকে। অনেক সময় দেখা যায় যে, বলা হয়ে থাকে আমার কথা শুনলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর দেবো, কথায় সায় না দিলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেবো। বসদের ক্ষেত্রেও তাই। কথা শুনলে প্রমোশন, না শুনলে বরখাস্ত।
আপনার মতামত লিখুন :