নিজস্ব প্রতিবেদক : ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের একমাত্র ক্লাব হিসেবে এবার এএফসি কাপে খেলবে আবাহনী। গত শুক্রবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে নবাগত বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে এএফসি কাপের টিকিট পেয়েছে ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে সফল ক্লাবটি।
এএফসি কাপে আবাহনী খেলবে সরাসরি ‘ই’ গ্রুপে। যেখানে খেলবে ভারতের মিনেরভা পাঞ্জাব, নেপালের লিগ চ্যাম্পিয়ন দল এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্লে-অফ জয়ী দলটি। আবাহনীর প্রথম ম্যাচ আগামী বছর ৩ এপ্রিল নেপাল লিগ চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে।
ঘরোয়া ফুটবলে দুর্বার হলেও এএফসি’র টুর্নামেন্টগুলোয় ভালো ফল করতে পারেনি আকাশী-হলুদ জার্সিধারীরা। গত দুই বছর এফসি কাপে অংশ নিয়ে দুইবারই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশের জায়ান্টরা। তার আগে ৫ বার এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপে খেলে একই ফল করেছিল আবাহনী। তবে ১৯৯৮ সালে এশিয়ান কাপ উইনার্স কাপের দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্ত উঠতে পেরেছিল ধানমন্ডির ক্লাবটি।
গত বছর গ্রুপ পর্বে আবাহনীর প্রতিপক্ষ ছিল ভারতের ব্যাঙ্গালুরু, আইজল এএফসি ও মালদ্বীপের নিউ রেডিয়েন্ট। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে মোট ৬ ম্যাচে একটি জিতে, একটি ড্র করে চারটিতেই হেরেছিল।
আগামী বছরের এএফসি কাপে আঁটঘাঁট বেধে নামবে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়নরা। এএফসির এ টুর্নামেন্ট খেলার আগে অবশ্য তারা ঘরোয়া আরো দুটো আসর শেষ করতে পারবে। ৩০ নভেম্বর শুরু হচ্ছে স্বাধীনতা কাপ। এ টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর জানুয়ারিতে শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ।
এ দুটি আসরে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই এএফসি কাপের দল তৈরি করতে পারবে আবাহনী। এএফসি কাপের জন্য খেলোয়াড় তালিকা জমা দিতে পারবে ২ মার্চের মধ্যে। মৌসুম শুরুর আগে থেকেই বিদেশি কোচের সন্ধান করছে তারা। স্থানীয় জাকারিয়া বাবু ফেডারেশন কাপ এনে দিলেও ক্লাবটি বিদেশি কোচের খোঁজ অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :