স্বপ্না চক্রবর্তী : এলএনজি আমদানি হতে থাকলে গ্যাসের দাম বাড়বেই। তবে তা ভোক্তাদের জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রয়োজনে কারখানাগুলোতে ইলেকট্রনিক ভলিউম কন্ট্রোলার (ইভিসি) মেশিন স্থাপনের অনুমোদন দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের আয়োজনে ‘এলএনজি ট্যারিফ : ইম্পপ্লিকেশন অন ট্রেড এন্ড ইনডাস্ট্রিজ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন ব্যবসায়ী নেতারা। এসময় বক্তারা বলেন, স্থানীয়ভাবে ৮৭শতাংশ গ্যাসের চাহিদা মিটলেও শতভাগ চাহিদা মিটানোর জন্য ১৩ শতাংশ গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান না পাওয়ায় একসময় আমদানির উপরই নির্ভরশীল হতে হবে। আর এ খাতে ভর্তুকির পরিমাণও বাড়বে। কিন্তু সরকার খুব বেশিদিন ভর্তুকি দিতে পারবে না উল্লেখ করে তারা বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ালে কারখানাগুলোর উৎপাদন ব্যায় বেড়ে যাবে। কিন্তু ক্রেতাদের কাছ থেকে সেই তুলনায় দাম পাওয়া যাবে না। এতে করে বন্ধ হয়ে যাবে অনেক কারখানা। তাই দাম বাড়ালেও তা একটা সহনীয় পর্যায়ের রাখতে হবে।
সেমিনারের মূলবক্তব্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. মুহাম্মদ ফৌজুল কবির খান বলেন, গ্যাসের চাহিদা মিটাতে সরকার সিস্টেম লস কমানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশের জীবনযাত্রার উন্নয়নের পাশাপাশি বেড়েছে উৎপাদনও। এতে করে বেড়েছে চাহিদা। কিন্তু সেই তুলনায় গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে না। আমদানি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে গ্যাসখাত। তবে ব্যবসায়ীদের কথা সর্বোচ্চ বিবেচনায় রেখেই এলএনজির দাম নির্ধারণ হবে বলে আশা করেন তিনি।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ। ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাশেম খানের পরিচালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্ঠা অধ্যাপক শামসুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজি বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, এনার্জি এন্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লা আমজাদসহ এ খাতের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা।
আপনার মতামত লিখুন :