আদিত্য শাহীনের ফেসবুক থেকে নেওয়া : কারওয়ান বাজারে এসে অন্যরকম আনন্দ পাই। ফল ফসলের বিপুল সমাহার দেখি। খাদ্যপাড়ার সবই মানুষের খাবার। দেশি, হাইব্রিড, সতেজ কিংবা আধা পঁচা সবই মানুষ সাবাড় করে দেয়। এর ভেতরে আর্ট হচ্ছে একজন মানুষকে খাওয়ানোর জন্য আরেকজন মানুষের প্রাণান্ত প্রয়াস। কৃষক উৎপাদন করে শিল্প বাণিজ্যের বুদ্ধিতে চটুল ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেয়। আর ব্যবসায়ীরা তা নিয়ে ক্রেতার দৃষ্টি আকৃষ্ট করার উদ্যোগ নেয়।
আজ আমার দৃষ্টি কাড়লো রঙিন সুন্দরী ‘চুকাই’। আমরা ছোটবেলায় চুকুরি বলে ডাকতাম।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে ফলটি পরিচিত। যেমন: রাজশাহীতে চুকাই, খুলনায় ও সাতক্ষীরাতে অম্ল মধু বা অম্বল মধু, ধামরাই এবং মানিকগঞ্জে চুকুল, সিলেটে হইলফা, কুমিল্লায় মেডশ, মেট্টস বা মেষ্টা ইত্যাদি। এছাড়া চুকুর, চুকুরি, চুপুরি, চুকোর, চুপড়, চুকা, চুক্কি, চুই, মেস্তা, খিইরুপ ইত্যাদি নামও প্রচলিত আছে। এটি ভারতের আসামে টেঙ্গামোরা , কেরালায় লালচাটনি, ইরানে চায়ে-তরশ, আরব দেশগুলোতে কারকাদি, ক্যারিবিয় ও ল্যাটিন আমেরিকায় সরেল, ইন্দোনেশিয়ায় রোসেলা, আফ্রিকার অনেকগুলো দেশে বিসাপ নামে পরিচিত।
আজ চুকুরির চাটনি খেয়ে দেখবো।
শুভ শুক্রবার।
আপনার মতামত লিখুন :