রাশিদ রিয়াজ : ভারতে গত জুলাইয়ে পূর্ব দিল্লির মান্ডাওয়ালি এলাকায় অনাহারে ৩ শিশুকন্যার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওই অনাহারে মৃত্যু, বিশেষত শিশুমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারকে নোটিশ পাঠাল হাইকোর্ট। এই ধরনের ঘটনা রুখতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, দুই সরকারকে তা জানাতে বলা হয়েছে।
বস্তিবাসীদের একটা বড় অংশের রেশন কার্ড না থাকায় তাঁরা ভর্তুকির খাদ্যদ্রব্য থেকে বঞ্চিত হন। যে কারণে এই সমস্ত এলাকায় অপুষ্ঠি এবং অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে দাবি করে দিল্লি আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। রাজধানী এবং সেই সঙ্গে দেশজুড়ে অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, দুই সরকারকে তা জানাতে বলেছে প্রধান বিচারপতি রাজেন্দ্র মেনন এবং বিচারপতি ভিকে রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
সেইসঙ্গে এই মামলায় যুক্ত হওয়ার জন্য দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর, সমাজ কল্যাণ দফতর এবং মহিলা ও শিশু কল্যাণ দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ স্থির হয়েছে।
গত জুলাইয়ে পূর্ব দিল্লির মান্ডাওয়ালি এলাকায় অনাহারে ৩ শিশুকন্যার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। টানা আটদিন ধরে সম্পূর্ণ অভুক্ত ছিল ২, ৪ ও ৮ বছরের তিন কন্যা। এমনকী মৃত্যুর অন্তত ১৮ ঘণ্টা পরে তাদের দেহ হাসপাতালে আনা হয়। পরে জানা যায়, হতভাগ্য শিশুদের বাবা মধু এবং মা বীণা আদতে পূর্ব মেদিনিপুরের বাসিন্দা। কাজের সন্ধানে ৩ সন্তানকে নিয়ে দিল্লিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। এই ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল।
মামলাকারী আইনজীবী মণীষ পাঠক তাঁর আবেদনে গত জুলাইয়ের এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন। রেশনকার্ড না থাকলে রেশন পাওয়া যাবে না, এই সরকারি ব্যবস্থাকে সংবিধানিক মৌলিক অধিকারের বিরোধী বলে দাবি করেছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :