শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:৫৮ দুপুর
আপডেট : ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:৫৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেষ অঙ্কে নানা খেলা

অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন প্রধান দুই জোট তাদের মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের হিসাব-নিকাশ। প্রতিদ্বন্দ্বী জোটের তালিকায় চোখ রাখার চেষ্টা করছে দুই জোটই। কারণ নির্বাচনের আগেই তারা 'হারতে' চায় না একে অন্যের কাছে
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে লিপ্ত হতে নানা হিসাব-নিকাশ করছে বিএনপি জোট। প্রতিদ্বন্দ্বী দেখে 'যোগ্য' প্রার্থী মনোনয়ন, নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে চমক, প্রচার-প্রচারণায় নতুনত্ব আনাসহ নানামুখী কৌশল নিচ্ছে তারা। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শেষে এখন 'খসড়া প্রার্থী' তালিকা চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত সময় পার করছে সরকারবিরোধী জোটটি। গত দু'দিন ধরে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের পাশাপাশি ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্য থেকে যোগ্য ও শক্তিশালী প্রার্থী বাছাই করতে দীর্ঘ সিরিজ বৈঠক করেছে বিএনপির পার্লামেন্টারি বোর্ড।
বেশ কিছু আসনে জোট প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে গিয়ে সংকটে পড়েছে জোটের প্রধান বিএনপি। জোটের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের প্রত্যাশিত আসনগুলো অধিকাংশ বিএনপি অধ্যুষিত এলাকায় হওয়ায় ও যোগ্য প্রার্থী থাকায় দোটানায় পড়েছে দলটি। এ পরিস্থিতিতে প্রধান প্রতিপক্ষ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী দেখে শেষ মুহূর্তে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে চায় বিএনপি জোট।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের অংশ হিসেবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাচ্ছেন তারা। তাদের আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কোনো সম্ভাবনা নেই। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তারা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে খুব বেশি সমস্যা হবে বলে মনে করেন না তিনি। বর্তমান বাস্তবতার নিরিখে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকরা আসন বণ্টনে গঠনমূলক ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করেন তিনি।

মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় আছে আর মাত্র চার দিন। কৌশলগত কারণে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করছে না প্রধান দুই জোট। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা বলছেন, দলীয় মনোনয়নের খসড়া তালিকা তৈরি করেছেন তারা। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেখে শেষ মুহূর্তে আনুষ্ঠানিক প্রার্থিতা প্রকাশ করা হবে। সব আসনে না হলেও বহু আসনেই প্রতিপক্ষ দলের প্রার্থী কে হচ্ছেন, তা মোটামুটি আগে থেকেই জানা যায়। এরপরও সব আসনেই নিজ দলীয় প্রার্থীর প্রতিপক্ষ কে হচ্ছেন, সেটা জেনেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে চান তারা।

দলীয় সূত্র জানায়, দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে দশ বছর পর জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। সারাদেশে দলীয় নেতাকর্মীরা মামলা-হামলায় জর্জরিত হলেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন তারা। আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪ হাজার ৫৮০টি মনোনয়ন ফরম কেনেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।

অবশ্য ২ হাজার ৪২০ জন মনোনয়ন ফরম জমা দেন।

মনোনয়ন বোর্ড সদস্যরা নেতাদের বলেছেন, এবার একটা ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভোট হচ্ছে। এখানে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে টিকে থাকতে হবে। ভোটের মাঠ ছেড়ে দেওয়া যাবে না। তাই যারা নিজ নিজ এলাকায় বিরূপ পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে ভোটের মাঠে থাকতে পারবেন, ভোটারদের সঙ্গে থাকতে পারবেন, তাদেরই মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে।

সূত্র জানায়, বিএনপি হাইকমান্ড সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময়ই সরাসরি দলের হিসাব-নিকাশ কিছুটা জানিয়ে দিয়েছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীদের। প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার শেষে এখন মনোনয়ন বাছাই প্রক্রিয়াকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন হাইকমান্ড। দফায় দফায় বৈঠক করছেন তারা। প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক আসনের বিপরীতে 'বিকল্প প্রার্থী' হিসেবে তিনজনকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হচ্ছে। তিনজনকেই মনোনয়ন ফরম জমা দিতে দলীয় 'প্রত্যয়নপত্র' দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এসব চিঠি প্রার্থীরা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করবেন। তবে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ এবং চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি দেবেন শেষমুহূর্তে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগের দিন অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বরের আগে। এর মধ্যে অনেক আসনে আওয়ামী লীগ কোন আসনে কাকে প্রার্থী দেয়, তা দেখার চেষ্টা করবে দলটি। কৌশলগত কারণে আপাতত প্রার্থী মনোনয়ন না দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেখে এবং দল ও জোটের শক্তিশালী প্রার্থী দেখে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে দলটি।

দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের খসড়া তালিকা প্রস্তুতের জন্য গতকাল শুক্রবার বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নানা হিসাব-নিকাশ করে একটি খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করা হয়। দলের কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং লন্ডনে অবস্থারত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করে তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির একজন নীতিনির্ধারক নেতা জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে একটি খসড়া প্রার্থী তালিকা দিয়ে গেছেন। সেই তালিকা ধরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের আসন বণ্টনের পাশাপাশি নতুন যোগ্য প্রার্থীদের বিষয়েও খোঁজখবর নিচ্ছেন দলটির হাইকমান্ড। খালেদা জিয়ার তালিকায় প্রায় ১১৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে নবম জাতীয় নির্বাচনে যেসব প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। যদি এসব আসনে কোনো প্রার্থী নির্বাচন করতে না পারেন তাহলে নতুন প্রার্থী খোঁজ করা হবে।

এদিকে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা। সিনিয়র নেতাদের বাসাবাড়িতে ধর্ণা দিচ্ছেন তারা। বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রাম আর নির্যাতনের প্রমাণাদিসহ নেতাদের বাসায় হাজির হচ্ছেন।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না গতকাল বলেন, তারা এখন খসড়া প্রার্থী তালিকা তৈরিতে ব্যস্ত। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে আরও সময় লাগবে। আর বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এক বৈঠকে আসন বণ্টনের সবকিছু ঠিক হবে না। যাচাই-বাছাই করে দিতে কিছুটা সময় লেগে যেতে পারে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমিটির এক বৈঠক গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি ও মনোনয়ন বিষয়ে সমন্বয়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, আসন বণ্টনের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আসন বণ্টনের দায়িত্ব ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির। মনোনয়নপ্রাপ্তরা নির্বাচনের সময় কারাগারে থাকলে সেখান থেকেই তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে বিকল্প প্রার্থীও হাতে রেখেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

২০ দল নিয়ে জটলা :জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী ৫১টি আসনের তালিকা দিয়েছে বিএনপিকে। এর মধ্যে ৩৫টি আসনের জন্য তারা বিএনপির সঙ্গে দেন-দরবার করছে। তবে বিএনপি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৫টি আসন দেওয়ার ব্যাপারে রাজি হয়েছে বলে জামায়াত সূত্র দাবি করেছে। আসন নিয়ে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় তারা বৈঠক করছেন। স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিলেও ঝুঁকি এড়াতে এখন ধানের শীষ নেওয়ার চিন্তা করছে দলটি। তবে শেষ পর্যন্ত জামায়াতের সঙ্গে আসন বণ্টন জটিলতা নিরসনে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে বলে জানা গেছে।

এলডিপির ৩৫ জনের একটি প্রার্থী তালিকা বিএনপির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১২ জন প্রার্থীর জন্য বিএনপির সঙ্গে দর কষাকষি করছে দলটি। তালিকা অনুযায়ী, গুরুত্বপূর্ণ আট প্রার্থী হলেন কর্নেল (অব.) অলি আহমদ চট্টগ্রাম-১৪, দলের মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ কুমিল্লা-৭, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম লক্ষ্মীপুর-১, আবদুল করিম আব্বাসী নেত্রকোনা-২, আবদুল্লাহ চাঁদপুর-৩, আবদুল গণি মেহেরপুর-২, মোহাম্মদ নূরুল আলম চট্টগ্রাম-৭, এম ইয়াকুব আলী চট্টগ্রাম-১২।

এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, বাস্তবতা অনুযায়ী জোটের শরিক দলগুলো আসন চাচ্ছে। এতে জোটের প্রধান শরিক দলের সঙ্গে টানাপড়েন কম হবে।

জোটের নেতাদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম চট্টগ্রাম-৫, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ ভোলা-১, জাগপার শফিউল আলম প্রধানের মেয়ে ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান পঞ্চগড়-২, মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে পিপলস পার্টি অব বাংলাদেশের রিটা রহমান নীলফামারী-১, মাইনরিটি জনতা পার্টির সুকৃতি কুমার ম লকে যশোর-২ আসনটি ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি।

ঐক্যফ্রন্টের আসনেও প্রার্থীজট :জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরাম প্রায় সাড়ে তিনশ' মনোনয়ন ফরম বিতরণ করেছে। এর মধ্যে ১৫টি আসনের জন্য বিএনপির সঙ্গে দর কষাকষি করতে চায় দলটি। দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ঢাকা-২ ও ৩ আসনেই নির্বাচন করতে চান। ওই আসন দুটিতে দলটির কোনো সাংগঠনিক শক্তি নেই। বরং বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমান উল্লাহ আমান ওই দুই আসনে দলীয় প্রার্থী হতে চান। তবে সমঝোতা হলে সে ক্ষেত্রে মন্টুসহ অনেককে ঢাকা মহানগরের আসন থেকে প্রার্থী করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মন্টুর জন্য ঢাকা-৭ আসনের কথা ভাবা হচ্ছে।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৩ অথবা ১৪ এ দুটি আসনের যে কোনো একটি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার আশা করছেন। কিন্তু ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা অলি আহমদ চট্টগ্রাম-১৪ আসনের প্রার্থী। চট্টগ্রামে সমঝোতা না হলে ঢাকা-৬ আসনে সুব্রত চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা চলছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার পরিবর্তে তার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন মনোনয়ন চাইছেন। এবার সুব্রতকে চট্টগ্রামে দিলে অলিকে ছাড় দিতে হবে এবং ঢাকায় দিলে খোকার ছেলে ইশরাককে ছাড় দিতে হবে। অসুস্থ খোকার পরিবর্তে তার ছেলেকে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক বিএনপি হাইকমান্ড।

ঐক্যফ্রন্টের আরেক নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে মৌলভীবাজার-২ আসন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এএসএম কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া গণফোরামে যোগদান করায় তাকে হবিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। এ আসনে বিএনপির দুইবারের সাংসদ শেখ সুজ্জাত মিয়া শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি প্রাথমিকভাবে ১৩২ জনের তালিকা তৈরি করেছে। এর মধ্যে বর্তমানে ১০-১২টি আসন নিয়ে দরকষাকষি করছেন তারা। এর মধ্যে দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব লক্ষ্মীপুর-৪, আবদুল মালেক রতন কুমিল্লা-৪, তানিয়া রব ঢাকা-১৭, তৌহিদ হোসেন চুয়াডাঙ্গা-১, মাসুম এম মহসীন ঢাকা-১৮, শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ফেনী-৩, বেলায়েত হোসেনের জন্য লক্ষ্মীপুর-২ আসনে মনোনয়ন চাইছে দলটি।

বিএনপির পক্ষ থেকে আ স ম আবদুর রবকে ঢাকায় আসন দেওয়ার ব্যাপারে বলা হচ্ছে। তবে তিনি রামগতির ওপর জোর দিচ্ছেন। লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবকে মনোনয়ন দিলে বিএনপির সাবেক সাংসদ এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান বাদ যাবেন। দলের সহসভাপতি তানিয়া রব ঢাকা-১৮ (উত্তরা) আসন থেকে নির্বাচন করতে চান। এ আসন থেকে বিগত নির্বাচনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল নির্বাচন করেছিলেন। এবার যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ১২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন।

জেএসডির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটওয়ারী ঢাকা-১৪ চান। এ আসনে বিএনপির সাংসদ ছিলেন এস এ খালেক। এবার এ আসন থেকে এস এ খালেকের ছেলে এস এ সিদ্দিক সাজুসহ ১৫ জন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী।

নাগরিক ঐক্য ৩৫ জনের মনোনয়নের তালিকা প্রস্তুত করেছে। এখন এ সংখ্যা আরও বেড়ে ৪০ হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে দলের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ আসন চান। তবে বিএনপি ঢাকা-১৬ (মিরপুর) আসনে মনোনয়ন দিতে চায়। এ আসনে বিগত নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। এবারও ব্যারিস্টার রফিক, তার স্ত্রী অধ্যাপক শাহিদা রফিকসহ ১৫ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। অবশ্য রফিকুল ইসলাম মিয়া দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। মান্নাকে ঢাকায় মনোনয়ন দিলে ব্যারিস্টার রফিক মনোনয়নবঞ্চিত হবেন। বিএনপি ছাড় দিলে দলটির উপদেষ্টা এস এম আকরামকে দেওয়া হতে পারে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ ও ১৩ এ দুটি আসনেই মনোনয়ন চাইছেন। সূত্র জানায়, গতকাল শুক্রবার রাতে বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে ঢাকা-১৩ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়। এ আসনে বিএনপির আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, হেলেন জেরিন খানসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী রয়েছেন। সূত্র: সমকাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়