শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০৫:৪৪ সকাল
আপডেট : ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০৫:৪৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টেস্ট ক্রিকেটে মেধার প্রকৃত ‘টেস্ট’ কতটুকু হচ্ছে?

গাজী আশরাফ হোসেন লিপু : ৫ দিনের টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় দিনটিও সচরাচর ব্যাটসম্যানদের অনুকূলে থাকে এবং ক্রমান্বয়ে তা স্পিনারদের অনুকূলে যাবে এমনটিই হয়ে থাকে। তবে চট্টগ্রামের এই টেস্টে দ্বিতীয় দিনেই স্পিনারদের বলের বিপরীতে ব্যাটসম্যানদের এমন অসহায় দেখতে হবে তা আমি ভাবিনি।

দ্বিতীয় দিনে সর্বমোট ১৭টি উইকেট পড়েছে দুই দলের। সবগুলি উইকেটই ভাগাভাগি করে নিয়েছে স্পিনাররা এবং দুই দলের শেষ দুটি ইনিংসে এ যাবৎ মাত্র তিন ওভার বল করার সুযোগ হয়েছে পেস বোলারদের। মন্থর প্রাণহীন পিচে পেসারদের চেয়ে স্পিনাররা অনেক ভয়ঙ্কর হওয়ার কারণেই ম্যাচের আধিপত্য বিস্তার বা পুনরূদ্ধারে স্পিনারদেরকেই বেছে নিয়েছেন দলনায়কদ্বয়।

এই দিনে টেস্ট ম্যাচে যখন তিনটি ইনিংস দেখতে হয় তখন স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে- ব্যাটসম্যানদের মান কি এতই খারাপ হয়ে গেলো নাকি অনেক বেশি ভালো বল করলেন দুই দলের স্পিনাররা? দ্বিতীয় দিনেই ব্যাটিংয়ের যদি এমন অবস্থা হয় তবে ৫ দিনে এই পিচের আচরণ কেমন হবে তা সম্ভবত আমাদের জানা হবে না। কারণ তৃতীয় দিনেই একটা সম্ভাবনা জেগেছে এই ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও এমন পিচ তৈরি করা হয় না বিধায় এমন পরিস্থিতিতে ব্যাটসম্যানদের উইকেটে টিকে থাকার কৌশল নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৭ ওভারে আমাদের প্রধান ৫ জন ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফেরত গেছেন।

প্রথম ইনিংসের ৭২ রানের লিডের পরেও মুশফিক, মিরাজ জুটির দিকেই প্রধানত বাংলাদেশ তাকিয়ে থাকবে। এই টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশের লড়াই করার যেমন যথেষ্ট সুযোগ আছে, ঠিক একইভাবে এই লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালোভাবেই ফেরত এসেছে বলা যায়।

টেস্ট ক্রিকেটে মেধার লড়াই হবে ব্যাট হাতে ও বল হাতে, যেন উভয়ের জন্যই পিচে একটা ভারসাম্যপূর্ণ সুযোগ থাকে। জয়ের জন্য হোম কন্ডিশনের কিছু সুবিধা নেওয়া যেতে পারে। তবে পেস বোলারদের সারা টেস্ট ম্যাচে প্রাণবন্ত বাউন্সার দিতে দেখবো না বা বাউন্সারের জবাবে ব্যাটসম্যানদের চোখ ধাঁধানো হুক, পুল করতে দেখবো না-এমন টেস্ট ম্যাচ এক সময় ছিলো কল্পনার অতীত। জয়ের নেশায় আমরা এমন পিচ তৈরি করছি যা একজন স্পিনার তার সেরাটা দেওয়া শেখার আগেই একটা রেকর্ড করে ফেলছেন।

নাঈম হাসান নিঃসন্দেহে দারুণ প্রতিশ্রুতিশীল এবং দারুণ নিয়ন্ত্রিত অফস্পিন করেছেন। তবে ১৪ ওভার বল করে টেস্ট ক্রিকেটে ৫ উইকেট নেওয়াটা আসলে কি এতই সহজ? একজন স্পিনারকে একটি উইকেটের জন্য যতটুকু পরিশ্রম করতে হয় তার চেয়ে অনেক সহজেই যখন একজন স্পিনার এতগুলি উইকেট পান সেটি প্রায়শই ব্যাকফায়ার করতে পারে। কারণ তার কাছে দলের প্রত্যাশা অনেক বেড়ে যায় এবং সব সময় এমন চরিত্রের পিচ স্পিনাররা পায় না যেখানে একাদশে ৪জন বিশেষজ্ঞ স্পিনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাই বলে ডেব্যুটেন্ট নাঈম হাসানের ৫ উইকেট প্রাপ্তিকে আমি কখনই খাটো করে দেখছি না। তাকে অনেক অভিনন্দন, মেহেদী হাসান মিরাজের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তিনি দলের মধ্যে একটা বড় সম্পদ।

উইকেট যথেষ্ট স্পিন সহায়ক হলেও, বল নিচু হতে দেখিনি। বরং স্পিনাররা বাড়তি বাউন্স পেয়েছে এই মন্থর পিচে। তবে ১৮০ থেকে ২০০ রানের লিড বড়ই প্রয়োজন। পিচ স্পিন নিলেও তার ভিত্তিটা বেশ শক্ত থাকায় বল বাউন্স পাচ্ছে। আর সেটাকে কাজে লাগিয়ে হেটমায়ারের মতো আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কৌশল একাধিক ব্যাটসম্যানরা নিতে পারে আমাদের বিপক্ষে। তবে অর্জিত আত্মবিশ্বাস ও ফুটমার্কের যথার্থ ব্যবহার করে আমাদের স্পিনাররা নিয়মিত ও দ্রুত সফলতা যেন পায় এই প্রত্যাশাই থাকবে। এই উইকেটে টার্গেট বড় না হলে ম্যাচ জয়ের জন্য আক্রমণাত্মক বোলিং করার পরিবেশ সর্বদা বজায় রাখাই হবে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

(বাংলা ট্রিবিউন থেকে নেওয়া)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়