নূর নাহার আলো : ৬১৯ বছরের প্রাচীন উপাসনালয় উলু কেমি মসজিদ। কুরআনি ক্যালিগ্রাফিতে সুসজ্জিত মসজিদ এটি। তুরস্কের ৪র্থ জনবহুল অধ্যুষিত উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় আনাতোলিয়ার মারমারা প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর বুরসা। এ বুরসা শহরের প্রধান মসজিদ এটি।
১৩৩৫ খ্রিস্টাব্দে সুউচ্চ উলুড্যাগ (Mt. Uludag) পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এ বুরসা শহরটি অটোমান রাজ্যের প্রথম প্রধান ও দ্বিতীয় সামগ্রিক রাজধানী ছিল। এটি বুরসার সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন মসজিদ।
২০ গম্বুজ ও ২ মিনার বিশিষ্ট ১৪তম শতাব্দীর প্রাচীন উপাসনালয় উলা কেমি মসজিদ। মসজিদটি সেলজুক স্থাপত্য শিল্পের আদলে অটোমান সুলতান বায়েজিদ কর্তৃক ১৩৯৬ থেকে ১৩৯৯ সনের মধ্যে নির্মিত হয়। সে হিসেবে মসজিদটি ৬১৯ বছরের ঐতিহ্য সমহিমায় ধারণ করে আছে।
পুরো মসজিদটির ভেতরাংশ কুরআনুল কারিমের আয়াতের ক্যালিগ্রাফিতে সুসজ্জিত। সেলজুক স্থাপত্য রীতি অনুযায়ী যুগশ্রেষ্ঠ স্থাপত্যবিদ আলি নিসার মসজিদের নকশা করেন।
মসজিদের ভেতরে অনেক বড় একটি পানির কুয়া রয়েছে। মানুষ এ হাউজের পানি দ্বারা ওজু করে থাকে। হাউজের চতুর্থদিকও কুরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি দ্বারা সুসজ্জিত।
মসজিদটির ভেতরে অসাধারণ আলোকসজ্জার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মসজিদটি নির্মাণকালীন সময়ের সেরা সেরা ক্যালিগ্রাফার শিল্পীদেরসহ সর্বমোট ১৯২টি ক্যালিগ্রাফি সন্নিবেশন করা হয়েছে। এ ক্যালিগ্রাফিগুলো মসজিদের ভেতরে বিভিন্ন প্লেটের ওপর অংকন করে স্থাপন করা হয়েছে।
এ মসজিদটিকে তুরস্কের বুরসা শহরের ল্যান্ডমার্ক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বর্তমান বিশ্বে এ ধরনের ক্যালিগ্রাফি সমৃদ্ধ মসজিদ বিরল।
আপনার মতামত লিখুন :