শিরোনাম
◈ সন্ত্রাসী অপরাধে গ্রেপ্তারদেরও নিজেদের কর্মী দাবী করছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০২:৩৮ রাত
আপডেট : ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ০২:৩৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অতীতে দলীয় সরকারের অধীনে দেশে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি

রফিক আহমেদ : বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, অতীতে দলীয় সরকারের অধীনে দেশে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। সুতরাং এবারও হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। শাসকরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে যে দিনরাত চিৎকার করছে এর কোনো বালাই নেই। শুক্রবার বাসদ নেতা ফিরোজ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।

বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, দেশের এক দলের নেতারা মন্ত্রী-এমপি পদে বহাল থেকে নির্বাচন করবে আর আরেক দল সাধারণ নাগরিক হিসেবে ভোটে অংশ নেবে, ফলে সমান সুযোগ তো প্রথমেই থাকছে না। ইতোমধ্যে শাসক দলের আচরণবিধি লঙ্ঘনের নানা খবর গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন অসহায়ের মতো শুধু দেখছে। সামান্য সতর্কতা পর্যন্ত থাকছে না। অর্থাৎ এই নির্বাচন কমিশন এতটাই নির্জীব যে, সাংবিধানিকভাবে তাদের ওপর দেয়া ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারছে না। উপরন্তু দেশের কোথায়ও শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি।

তিনি বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এমন গ্যারান্টি দিতে পারবে না নির্বাচন কমিশনের কর্তা ব্যক্তিদের- এ ধরনের মন্তব্য দেশবাসীকে হতাশ ও উদ্বিগ্ন করেছে। জনগণ মনে করছেন এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে আদৌও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা। তারপরও তারা করছেন দেশে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া চালু হোক। দেশে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ ও জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হোক।

তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভুলত্রুটি কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং দেশের জনগণও মনে করেন জাতীয় স্বার্থে ঐক্যমত্যের প্রকাশ ঘটানো অনেকাংশে সম্ভব। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এটা অনুপস্থিত। শাসক দল মনে করেন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার কারণে তারা যা সিদ্ধান্ত নেবে তা-ই সঠিক বলে জনগণ মেনে নেবে। আবার প্রধান বুর্জুয়া বিরোধীদলও মনে করেন সরকারের সমালোচনা করাটাই একমাত্র কাজ। সংকট কিভাবে সমাধান সম্ভব তার কোনো নির্দেশনা তাদের বক্তব্যে ও সমালোচনায় উঠে আসে না। বিগত দিনে তাদের শাসনামলেও ওইসব সংকটের কেন সমাধান হয়নি- সে বিষয়েও কোনো ব্যাখ্যা থাকছে না। ফলে রাজনীতিতে একে অপরের মুখ দেখাদেখি হয়না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়