জিয়াউদ্দিন রাজুু : যশোর জেলা বিএনপির সহ সভাপতির লাশ বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধারে বিএনপির বক্তব্যের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যশোরের কোন প্রার্থী বুড়িগঙ্গা নদীতে লাশ, এর মানে তো ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’। এটা ওদের নিজস্ব কোন্দলের কারণেও হতে পারে। কারও সঙ্গে কোন্দলের কারণে তারা উনাকে মারতে পারে। কিন্তু সেখানে আওয়ামী লীগের কি স্বার্থ থাকতে পারে। শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের এ ইঙ্গিত করেন।
তিনি বলেন, যশোরের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের লাশ বুড়িগঙ্গায় কেন পাওয়া গেল না খতিয়ে দেখতে হবে। তাদেরও তো অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী আছে। আগামী নির্বাচনে আমাদের দল ও জোট বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। তবে এসব কথা বলা উচিত নয়, এতে জনগণকে অসম্মান করা হয়।
বিএনপি স্বপ্ন বিলাসী দল এমন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর আগে নির্বাচনে বিএনপি আমাদের ত্রিশ আসন দিয়েছিল, নিজেই পেয়েছিল ৩০ আসন। এবার তাদের কেউ কেউ আমাদের ১০ আসনও দিয়েছিল। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে যে জোয়ার দেখা যাচ্ছে সারা দেশে তাদের এই জোয়ার কিন্তু নেই। এই সাময়িক জোয়ারে ক্ষমতার রঙিন খোয়াব যদি বিএনপি নেতারা দেখেন, তাহলে ৩০ ডিসেম্বর টের পাবেন।’’
নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি নেতাদের হয়রানি করা হচ্ছে এমন অভিযোগে বিষয়ে করা এক প্রশ্নে তিনি বলেন ‘‘ তাদের নয়াপল্টনে একজন আবাসিক প্রতিনিধি রয়েছে। এ ধরনের আজগুবি অভিযোগ তিনি করেন। এটা হচ্ছে মিথ্যাচার প্রডাকশনের জন্যই।
শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগ নিয়ে কোন টানা পোড়েন হয়েছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসন নিয়ে দরকষাই তো হবেই। এটা গণতন্ত্রের অংশ। তবে কোন টানা পোড়েন নেই। তবে এখানে তো বানরের পিঠা ভাগ করে তো লাভ নেই। তবে সব কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। এখানে কে কত সিটে জিততে পারবে, এটাই হলো আমাদের প্রাইম কনসিডারেশন।
মহাজোটের সঙ্গে আসন বন্টন চূড়ান্ত হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মৌখিকভাবে হয়েছে। যখন ঘোষণা হয়ে যাবে, তখন তো আপনারা পেয়ে যাবেন।
শরিকদের কে কত আসন পেতে পারে সে বিষয়ে কি আভাস দেয়া যায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমি একটা অনুমান করতে পারি। আমি বার-বার বলেছি প্রার্থীকে ইলেক্টেবল হতে হবে, ইউনেবল হতে হবে। সে ক্ষেত্রে ৬৫-৭০ এর জায়গায় ২/৪টা বারতেও পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাউসার, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :