শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর, ২০১৮, ০৬:২৫ সকাল
আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০১৮, ০৬:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব হবে বড় চ্যালেঞ্জ: ড. শফিকুর রহমান

মো: মারুফুল আলম: সাউথ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. শফিকুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনী ক্যাম্পেইন বাইরে এলাউড না, কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। এর এডিটোরিয়াল কন্ট্রোল ঠিক নেই। এর প্রভাবও প্রকট। আমেরিকার নির্বাচনেও এর প্রভাব দেখা গেছে। এটি একটি বড় রকম চ্যালেঞ্জ এবং এর প্রভাব রাজনীতি, নির্বাচন ও অন্যান্য জায়গায় হয়েছে, হচ্ছে এবং আগামীতেও হবে। শুক্রবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন আন্দোলন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবেই হয়েছে। কাজেই সোশ্যাল মিডিয়া যে আগামি নির্বাচনকে ইনফ্লুয়েন্স করবে না বা কম করবে সেটা বলা যায় না।

ভুয়া খবর মানুষকে প্রভাবিত করার কারন হিসেবে শফিকুর রহমান বলেন, সংবাদপত্র রেডিও টেলিভিশনের চেয়েও জনগণের মধ্যে বেশি দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব। মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খেলাধুলা সম্পর্কে বিভিন্ন ইনফরমেশন প্রচারের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ার যে ভাল দিকটা রয়েছে সেটিকে কাজে লাগিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে অনেকে ফেইক নিউজ তৈরীর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছে। ফলে ভুয়া খবরের মাধ্যমে নির্বাচনে প্রভাব তৈরী করা সম্ভব, যা আমরা আমেরিকার নির্বাচনে দেখেছি।

মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার ভুয়া খবর বিশ্বাস করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রথম কারন হচ্ছে সত্য-মিথ্যা পাথর্ক্য করার শক্তি সাধারণ মানুষের নেই। শুধু হাইলি শিক্ষিতরাই ওটাকে বিশ্লেষনের মাধ্যমে পার্থক্য নির্ণয় করেন। আমরা রেডিও টেলিভিশনের মাধ্যমে যেভাবে প্রচারিত খবরকে ট্রেডিশনালি সত্যি মনে করি, একইরকম ধারণায় সাধারণ জনগণ সোশ্যাল মিডিয়ার খবরগুলোকে গ্রহনযোগ্য হিসেবে ধরে নেয়।

শফিকুর রহমান বলেন, এটার সবচেয়ে বড় প্রবলেম হচ্ছে, এই সোশ্যাল মিডিয়ার কোন এডিটোরিয়াল মেজর কন্ট্রোল নেই। যে কেউ একাউন্ট হোল্ডার, সে নিজেই এডিটর, সে নিজেই রিপোর্টার। নিজের মতামত দিয়ে ওটাকে প্রচার করছে সে। ফলে এটার মধ্যে যে অনেক রকম ভুল থাকতে পারে, তা নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ নেই। আমরা দেখে আসছি, ওসব খবর প্রকটভাবে ইনফ্লুয়েন্স করতে পারে বা করছে।

জনগণের ভোটের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে এসব ভুয়া খবর কতটুকু প্রভাবিত করতে পারে? জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, ২০১৬ সালের ট্রাম্প এবং হিলারি ক্লিনটনের ইলেকশনে আমরা এর প্রভাব দেখেছি। আমেরিকার মিডটার্ম নির্বাচনেও আমরা সেরকম ইনফ্লুয়েন্স প্রকটভাবে দেখেছি। ফলে কংগ্রেস কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। ফেইসবুকের প্রধান মার্ক জুকারবার্গকে ডেকেছে, তাকে ইন্টারভিউ করেছে। তাকে বলেছে, ‘তোমরা যা করছো এটা ভুল, তোমাদের এডিটোরিয়াল কন্ট্রোল ঠিক থাকছে না।’ কাজেই বলা যায়, নির্বাচনের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়