বাংলা ট্রিবিউন : ঢাকার খুব কাছের আসন মানিকগঞ্জ-২ ( সিংগাইর, মানিকগঞ্জ সদরের একাংশ ও হরিরামপুর)। এই আসনটিকে টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগের মিত্র জাতীয় পার্টি। পাশাপাশি এটির দিকে নজর দিয়েছে যুক্তফ্রন্টও। এ পটভূমিতে বর্তমান এমপি দেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম মনোনয়ন নাও পেতে পারেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। যদিও এলাকায় উন্নয়নমূলক ব্যাপক কাজ করেছেন তিনি।
২০০৮ সালে জাতীয় পাটির প্রার্থী জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম আব্দুল মান্নান এই আসনে নির্বাচন করে জয়ী হন। তার কাছে বিপুল ভোটে হারেন বিএনপির প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় মানিকগঞ্জের এই আসনকে টার্গেট করেছে জাতীয় পার্টি। এদিকে এ আসন থকে লড়তে চান সদ্য বিকল্পধারায় যোগ দেওয়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জাতীয় পার্টির আমলের শিক্ষা উপমন্ত্রী ও গার্মেন্টস ব্যবসায়ী গোলাম সারোয়ার মিলন। তিনি এই আসন থেকে এমপি হওয়ার আশায় যুক্তফ্রন্টে যোগ দিয়েছেন
গোলাম সারোয়ার মিলন অবশ্য ওয়ান-ইলেভেনের সময় কোরায়েশী দলেও যোগ দিয়েছিলেন। এবার নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার ঠিক আগমুহূর্তে যুক্তফ্রন্টে যোগ দিয়ে দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন। রাজনৈতিক মহলে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এসএম আব্দুল মান্নান ও যুক্তফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলনকে নিয়ে দারুণ সমালোচনা চলছে। অনেকের ধারণা, আওয়ামী লীগ এই আসনটি তাদের মিত্রদল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেবে। কিন্তু বর্তমান এমপি মমতাজ বেগম তার নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করেছেন। তাছাড়া তিনি দেশবরেণ্য ফোক শিল্পী।
সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ভিপি শহিদুর রহমান শহিদ জানালেন, বর্তমান এমপি এলাকায় রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন করেছেন। তৃণমূলের সঙ্গে তার নেটওয়ার্ক। মমতাজের বিকল্প এই আসনে কেউ হতে পারে না বলে দাবি করেন শহিদ।
এসএম আব্দুল মান্নান ও গোলাম সারোয়ার মিলনদলীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান এমপি সিংগাইর উপজেলা আওযামী লীগের সভাপতি মমতাজ বেগম। ২০০৮ সালে প্রথমে সংরক্ষিত আসনে, দ্বিতীয় বার ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি এমপি হন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছেন বর্তমান এমপি মমতাজ বেগমসহ সাতজন।
এদিকে জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এই আসনটি জাপাকে ছেড়ে দিয়েছিল। তখন বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থীকে জাপা প্রার্থী এসএম আব্দুল মান্নান বিপুল ভোটে পরাজিত করেন। সেই আশায় এবারও জাপা এ আসনকে টার্গেট করেছে। জাপার নেতাকর্মীদের বিশ্বাস, ২০০৮ সালের মতো এবারও আওয়ামী লীগ জাপাকে এ আসন ছেড়ে দেবে।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম আব্দুর মান্নানের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তিনি জেলা জাপা সভাপতিও। তিনি বিত্তশালীও। সংগঠক হিসেবে তার সুপরিচিতি রয়েছে।
জেলা জাপার সহ-সভাপতি ও হরিরামপুর উপজেলা জাপার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল হোসেন এই প্রতিবেদককে জানান, তাদের এই সিটের ব্যাপারে ইতিমধ্যে গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে গেছেন। তারা নির্বাচনি প্রক্রিয়ার দিকে জোর দিচ্ছেন। তৃণমূল পর্যায়েও তাদের নির্বাচনি কমিটি গঠন শেষ হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :