মো.ইউসুফ আলী বাচ্চু : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, নেতৃত্ব শূন্যতা পূরণে বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামী কামাল হোসেনসহ কিছু রাজনীতিককে ‘ভাড়া করে’ নিজেদের দলে ভিড়িয়েছেন। বৃহস্পতিবার সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘আসন্ন নির্বাচন: সম্প্রীতির বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আনোয়ার বলেন, জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর ১৯৮১ সালে বিএনপির নেতৃত্বে এসে প্রায় চার দশক ধরে দলটি চালাচ্ছেন তার স্ত্রী খালেদা জিয়া। ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার আমলে সরকারি কোনো পদে না থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন তার ছেলে তারেক রহমান। খালেদা-তারেকের অবর্তমানে বিএনপির জন্য একটা পরিবর্তনের সুযোগ ছিল। কিন্তু যখন তারেক রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে তখন বোঝা যায়, তাদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন হয়নি। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অবর্তমানে বিএনপি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগায়নি।
ঐক্যফ্রন্টের দিকে ইঙ্গিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘জনগণকে সতর্ক করার প্রয়োজন আছে, কারা আজকে বঙ্গবন্ধুর কথা বলে, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বরোধী শক্তির সাথে মিলিত হয়েছে। আমাদের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি ও সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলকে সমর্থন দেব না। আজকে যারা মুখে বঙ্গবন্ধুর কথা বলে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন, একই প্রতীকে নির্বাচন করার কথা বলছেন। তাদের উদ্দেশ্য বোঝা যায়।
আগামী নির্বাচন খুব ‘সহজ-সরলভাবে’ হবে না মন্তব্য করে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যারা মনে করছেন, এটি বকুল বিছানো পথে হবে, তা কিন্তু হবে না। এবার হবে গোলাপ বিছানো পথে, যে গোলাপের মধ্যে অসংখ্য কাঁটা আছে। যেই কাঁটাগুলোকে দেখা যায় না, কিন্তু হাত দিলে হাতে রক্ত ঝরে। পা ফেললে পায়ে রক্ত ঝরে। আমাদের সাবধানী ও সতর্ক হতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ভূ-রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)।
সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আহ্বাক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল-এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, ডা. উত্তম বড়–য়া, রোকেয়া কবির, সুুভাষ সিংহ রায়, ড. সাজেদুল আউয়াল, খন্দকার ইব্রাহিত খালেদ, বরুণ ভৌমিক নয়ন প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :